Advertisement
০২ মে ২০২৪
Bansdroni

স্কুটি রাখা নিয়ে ঝামেলায় বাঁশদ্রোণীর যুবকের মুখে চপারের কোপ মত্তের! গ্রেফতার অভিযুক্ত

চপারের ঘায়ে গুরুতর জখম যুবক এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। যুবকের পরিজনেদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Picture of Prasenjit Sardar

বন্ধুদের দাবি, বছর ছাব্বিশের প্রসেনজিৎ সর্দারের মুখের বাঁ দিকে কোপ মারেন এলাকার এক মত্ত বাসিন্দা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:১৫
Share: Save:

রাস্তায় স্কুটি পার্ক করা নিয়ে ঝামেলার জেরে এক যুবকের মুখে চপারের কোপ মারলেন এলাকার এক মত্ত বাসিন্দা। এমনই অভিযোগ করেছেন ওই যুবকের বন্ধুরা। চপারের ঘায়ে গুরুতর জখম যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যুবকের বন্ধুদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রসেনজিৎ সর্দার নামে বাঁশদ্রোণীর এক যুবককে চপার দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে বাপ্পা মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বছর ছাব্বিশের প্রসেনজিতের ডেকরেটিংয়ের ব্যবসা রয়েছে। বুধবার তাঁর এক গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আনতে স্কুটিতে চড়ে তিনি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রানিয়ায় গিয়েছিলেন। রানিয়ার রাস্তার পাশে একটি জমিতে তাঁর স্কুটিটি রেখে টাকা আনতে যান। সেই স্কুটি রাখাকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত বলে দাবি।

অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা মত্ত অবস্থায় এসে ওই স্কুটিটি তাঁর জমি থেকে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে নিতে বলেন। ওই এলাকায় বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তাঁরা। ঝামেলা হচ্ছে দেখে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান প্রসেনজিতের বন্ধুরা। তাঁদের সঙ্গে স্কুটি সরানো নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তার মধ্যেই পাশের একটি দোকান থেকে ধারালো অস্ত্র এনে প্রসেনজিতের মুখে মারেন অভিযুক্ত। জখম যুবকের বন্ধু ভোলা নস্করের দাবি, ‘‘প্রসেনজিতের স্কুটিটা বাপ্পার জমিতে দাঁড় করানো ছিল। হঠাৎ বাপ্পা এসে সেটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নিতে বলে। সে সময় মত্ত অবস্থায় ছিল বাপ্পা। আমাদের সঙ্গে অযথা ঝামেলাও শুরু করে। স্কুটিটা সরানোর জন্য কিছু ক্ষণ সময় চেয়েছিলাম। তবে আমাদের গালিগালাজ করতে থাকে। ওকে বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। এর পর পাড়ার একটা দোকান থেকে চপার নিয়ে এসে স্কুটিতে কোপ মারে। প্রসেনজিৎকেও চপার দিয়ে কোপ মেরেছে বাপ্পা। আমাদের কয়েক জনকেও চপার দিয়ে আক্রমণ করে। এর পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।’’

এই হামলায় প্রসেনজিতের মুখের বাঁ দিকে গুরুতর আঘাত লাগে বলে জানিয়েছেন বন্ধুরা। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার সময় চূড়ান্ত মত্ত অবস্থায় ছিলেন বাপ্পা। তাঁরাই অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ভোলা বলেন, ‘‘এ রকম যেন আর কারও সঙ্গে না হয়। বাপ্পার কঠোর শাস্তি শাস্তি চাই।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৬ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি মোহিত মোল্লা বলেন, ‘‘প্রসেনজিৎ সর্দারের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bansdroni Crime Murder Attempt
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE