Advertisement
০২ এপ্রিল ২০২৩

পুলিশ সুপারের কাছে দরবার মহিলা সমিতির

জেলার বুকে নারী নির্যাতন ক্রমে বাড়ছে অভিযোগ করল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। সোমবার জেলার এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার সঙ্গে দেখা করেন মহিলা সমিতির নেত্রীরা। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য, রাজ্যে কমিটির সভানেত্রী অঞ্জু কর, সম্পাদিকা মিনতি ঘোষ, ভারতী ঘোষাল প্রমুখ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৪ ০১:৩২
Share: Save:

জেলার বুকে নারী নির্যাতন ক্রমে বাড়ছে অভিযোগ করল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। সোমবার জেলার এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জার সঙ্গে দেখা করেন মহিলা সমিতির নেত্রীরা। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মালিনী ভট্টাচার্য, রাজ্যে কমিটির সভানেত্রী অঞ্জু কর, সম্পাদিকা মিনতি ঘোষ, ভারতী ঘোষাল প্রমুখ।

Advertisement

মালিনীদেবীরা জেলার পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছেন, কেতুগ্রাম, বর্ধমান সদর, কাটোয়া, কালনা, জামালপুর, কাঁকসা, বুদবুদ, গলসি, মেমারি ও বর্ধমান শহর এলাকায় ভোটের সময় পোলিং এজেন্ট থাকার কারণে কয়েকজন মহিলাকে মারধর করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।

মহিলা সমিতির নেত্রীদের অভিযোগ, কেতুগ্রামের মহূলী গ্রামে সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আসমিরা বেগমকে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পালিটা গ্রামের শিলা বেগম ও বিউটি বেগম নামে দুই মহিলাকে ভোটের দিন শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। কেতুগ্রামের মহিলা কল্পনা মাঝিকে নিগ্রহ করেছে পুলিশ। তার পরিনতিতে ওই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তাঁদের আরও অভিযোগ, বর্ধমান থানার মালকিতা গ্রামে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গ্রামের কয়েকটি বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। গয়না -সহ কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী লুঠ করা হয়েছে। তাঁরা গ্রামের নির্যাতিতা নারীদের ক্ষতিপূরন দেবার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেন এসপিকে। তাঁরা জানান, বর্ধমান থানারই হাটগোবিন্দপুর এলাকায় প্রায় ১৫০ মহিলা-সহ ৫০০ জন বাম মনোভাবসম্পন্ন মানুষ ঘরছাড়া রয়েছেন। এঁদের অবিলম্বে ঘরে ফেরানো দরকার। এ দিন এসপির কাছে শতাধিক ‘নির্যাতিতা’ মহিলার নাম তুলে দিয়েছেন মহিলা সমিতির নেত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুবিচার মেলেনি।

জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “আমি ওঁদের অভিযোগ শুনেছি। কেতুগ্রামের যে খুনের ঘটনার কথা ওঁরা বলেছেন, তাতে অভিযুক্ত সাতজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অনেকগুলি ঘটনাই অরাজনৈতিক। আমি অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখব।” মহিলা সমিতির নেত্রীদের আবেদন মেনে মালকিতা গ্রামের মহিলাদের ক্ষতিপূরন দেওয়া দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি। তবে এসপি কেতুগ্রামে ‘পুলিশ অফিসার দ্বারা নির্যাতনের পরে মহিলা আত্মঘাতী’ হবার ঘটনা স্বীকার করেননি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.