ঘটনার ২৪ দিন পরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে খুনে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা ওই ডাক্তারের প্রতিবেশী। টাকা নিয়ে বিবাদেই খুন বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ।
গত ৫ সেপ্টেম্বর অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামে এক জলাশয়ের পাশে রানিগঞ্জের রানিসায়রের চিকিৎসক বিপ্লব নন্দীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। তাঁর স্ত্রী খুনের অভিযোগ করেন। বিপ্লববাবুর মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে প্রতিবেশী, জামুড়িুয়ার ইকড়া গ্রামে প্রাথমিক স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী লাড্ডু মাহাতোকে সন্দেহ করে পুলিশ। বুধবার তাকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সে স্বীকার করে, ছেলের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে সে। পুলিশ জানায়, লাড্ডু বিপ্লববাবুর কাছে মাসিক দশ হাজার টাকা সুদের হিসেবে শোধ করার শর্তে তিন লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু পরে সে বিপ্লববাবুকে জানায়, আসল টাকা কয়েক কিস্তিতে মিটিয়ে দিলেও সুদ দিতে পারবে না। এ নিয়ে বিপ্লববাবুর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। পুলিশের দাবি, জেরায় লাড্ডু জানিয়েছে, ঘটনার দিন সে বিপ্লববাবুকে মদ্যপানের জন্য ডাকে। তার পরে তাঁকে বোঝায়, ধান্ডাডিহিতে সে এক জনের কাছে টাকা পাবে। সেই টাকা বিপ্লববাবুকে দেবে। বিপ্লববাবুর মোটরবাইকে চেপে ধান্ডাডিহি যায় লাড্ডু ও তার ছেলে সুনীল। সেখানে এক জলাশয়ের কাছে গিয়ে জানায়, যে টাকা দেবে সে মাছ ধরছে। বিপ্লববাবু মোটরবাইক দাঁড় করাতেই তারা দড়ির ফাঁস দিয়ে খুন করে। তার পরে বিপ্লবাবুর মোটরবাইক নিয়েই পালায়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে লাড্ডুকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে মেলা তথ্যের ভিত্তিতে গিরিডি থেকে ধরা হয় সুনীলকে। মোটরবাইকটিও উদ্ধার হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy