E-Paper

ব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে, অন্ডালে ধৃত দু’জন

অন্ডাল বিমানবন্দরে পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৯
অন্ডাল বিমানবন্দর ।

অন্ডাল বিমানবন্দর । —ফাইল চিত্র।

বিমানবন্দরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার ওই দু’জনের কাছে রিভলভার ও ছয় রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে ব্যাগ যন্ত্রে পরীক্ষা করার সময়ে বিষয়টি ধরা পড়ে। ধৃতদের বাড়ি বীরভূমের সিউড়িতে।

বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কৈলাস মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘বিমানবন্দরে ঢোকার সময়ে মুম্বইয়ের বিমান
ধরার জন্য আসা দুই যাত্রীকে পরীক্ষা করে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী, তদন্তের জন্য তাঁদের অন্ডাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’

অন্ডাল বিমানবন্দরে পাহারার দায়িত্বে রয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীরা। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা ১০ মিনিটের মুম্বইয়ের বিমান ধরার জন্য বীরভূমের সিউড়ি থেকে বিমানবন্দরে আসেন বীরভূমের সিউড়ির দুই যুবক সাজিদ সুলেমান মল্লিক ও মহম্মদ ইকবাল। তাঁরা সম্পর্কে শ্যালক ও ভগ্নিপতি। পুলিশ জানায়, বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে ব্যাগ ‘স্ক্যান’ করার সময়ে বোঝা যায়, সন্দেহজনক সামগ্রী রয়েছে। এর পরেই পুলিশ ব্যাগ পরীক্ষা করতে শুরু করে। ব্যাগের ভিতর থেকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া সামগ্রী পাওয়া যায়। সেটি খুলতেই দেখা যায়, কাগজে মুড়ে কিছু রাখা হয়েছে প্লাস্টিকের প্যাকেটে। কাগজ সরাতেই নজরে আসে, সোনার গয়না দিয়ে মোড়া একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলি। ওই যুবকদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেখতে চায় পুলিশ। অভিযোগ, তাঁরা লাইসেন্স দেখাতে না পারায় তাঁদের আটক করে অন্ডাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এ দিনই সকালে তাঁরা সিউড়ি থেকে অন্ডালে আসেন। মুম্বইয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। ব্যাগে কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এল, তা স্পষ্ট করে তাঁরা কিছু জানাননি বলে পুলিশের দাবি। তাঁদের সঙ্গে থাকা বড় ব্যাগটি আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, যে ভাবে আগ্নেয়াস্ত্রটি কাগজ ও প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা হয়েছিল, তা দেখে মনে হয়েছে, সেই কাজ কিছু দিন আগেই করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্রটি দেশি রিভলভার বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতেরা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তাঁরা ব্যবসায়ী। এক জনের ব্যাটারি ও অন্য জনের কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে বলে দাবি। সেটি কী উদ্দেশ্যে ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তদন্ত হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Andal arrest

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy