Advertisement
E-Paper

চোর সন্দেহে বাস থেকে নামিয়ে মার দুই যুবককে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগর হাউজিংয়ে একটি চারতলা আবাসনের তিনতলায় ফ্ল্যাটে থাকেন সুকুমার কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী বন্দনাদেবী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০৩
দুর্গাপুরে বাস থামিয়ে মারধরের অভিযোগ।

দুর্গাপুরে বাস থামিয়ে মারধরের অভিযোগ।

চোর সন্দেহে দুই যুবককে বাস থেকে নামিয়ে মারধর করল জনতা। পরে তাদের তুলে দেওয়া হল পুলিশের হাতে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগর আবাসন এলাকায়। জখম দুই যুবককে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগর হাউজিংয়ে একটি চারতলা আবাসনের তিনতলায় ফ্ল্যাটে থাকেন সুকুমার কুণ্ডু ও তাঁর স্ত্রী বন্দনাদেবী। বিধাননগর জোনাল মার্কেটে সুকুমারবাবুর একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে। এ দিন সকালে তিনি অন্য দিনের মতোই দোকানে চলে যান। বন্দনাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি সকাল ১১টা নাগাদ বাড়িতে তালা দিয়ে বাজারে যান। ঘণ্টাখানেক পরে ফিরে দেখেন, ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। ভিতর থেকে খুটখাট আওয়াজ আসছে। ভিতরে ঢুকে দেখেন, দুই অপরিচিত যুবক ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করতেই তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। তাঁর দাবি, গয়না ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় ওই দু’জন।

বন্দনাদেবীর চিৎকার শুনে ছুটে যান আশপাশের মানুষজন। ঘটনার কথা জেনে তাঁরা দুই যুবকের খোঁজ শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল মোড়ের বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে কয়েকজন বাসিন্দা দেখেন, দুই যুবক প্রান্তিকাগামী রুটের মিনিবাসে উঠে পড়েছে। বাস থামিয়ে তাদের নামিয়ে আনা হয়। এর পরে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দু’জনকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

পুলিশ অবশ্য জানায়, ওই দুই যুবকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, গয়না বা নগদ টাকা, কিছুই মেলেনি। দু’জনের কাছে দু’টি আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। তা থেকে দু’জনের নাম মহম্মদ সাবির ও আলি জান বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। তবে আধার কার্ড নিয়ে কেন কেউ চুরি করতে আসবে, সে প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। ধৃতদের সঙ্গে আরও কেউ ছিল কি না, বাড়ি থেকে বেরিয়ে জিনিসপত্র তার হাতে দিয়ে পাচার করা হয়েছে কি না— এই সব দিক দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, অনাদায়ী কোনও ঋণ আদায়ে ওই যুবকেরা এসেছিল কি না, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদী জানান, সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে পুলিশ। দুই যুবক সুস্থ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

Lynching Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy