ধর্মেন্দ্র মারা যাওয়ার পর থেকে দেওল পরিবারের অন্দরের সংঘাত নাকি স্পষ্ট হয়েছে। ধর্মেন্দ্রের জন্য মুম্বইয়ে একটি স্মরণসভার আয়োজন করেন তাঁর প্রথম স্ত্রী ও দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল। সেখানে ছিলেন না হেমা মালিনী। এ বার অভিনেতার জন্য দিল্লিতে স্মরণসভায় আয়োজন করেন মথুরার সাংসদ তথা অভিনেত্রী হেমা। তিনি এ দিন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। ছলছল চোখে বলেন,‘‘আমাকে কোনও দিন ধরমজির জন্য স্মরণসভার আয়োজন করতে হবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি।’’
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রী ১৯৮০ সালে অভিনেতাকে বিয়ে করার পর থেকে চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তাঁদের সম্পর্ক। আসলে ধর্মেন্দ্র প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ না করেই হেমাকে বিয়ে করেন। তার জন্য নিজের ধর্ম বদলাতে হয় অভিনেতাকে। দুই সম্পর্ক ঘিরে ছিল দ্বন্দ্ব, জটিলতা, টানাপড়েন। ছিল আবেগও। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরকে ত্যাগ করা যাবে না, এমনই নাকি নিদান দিয়েছিলেন অভিনেতার মা। যদিও, কখনও অভিনেতার পরিবারকে বিরক্ত করেননি হেমাও। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি কাউকে কোনও দিন বিরক্ত করতেই চাননি। কারণ তাঁর বিশ্বাস, ভালবাসায় আশা রাখতে নেই, বরং নিজেকে সমর্পণ করতে হয়। যদিও অভিনেতা জীবিত থাকাকালীন কখনও তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও অভিনেতার স্মরণসভায় তিনি স্বীকার করেন নেন, তাঁরা কখনও কাউকে ভয় পাননি। কারণ, তাঁদের ভালবাসা সত্যিই ছিল। সেই কারণেই একে অপরকে বিয়ে করেন। শেষে হেমা বলেন, ‘‘আমি সারা জীবন এই একটা পুরুষের জন্য সর্মপিত ছিলাম।’’