পর্দায় তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন একাধিক নারী। সেই ধর্মেন্দ্রই একদিন প্রেমে পড়লেন হেমা মালিনীর। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ না করলেও নিজের ধর্ম বদলে হেমাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। দুই সম্পর্ক ঘিরে ছিল দ্বন্দ্ব, জটিলতা, টানাপড়েন। ছিল আবেগও। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরকে ত্যাগ করা যাবে না, এমনই নাকি নিদান দিয়েছিলেন অভিনেতার মা। কথা রাখেন ধর্মেন্দ্র। তবে হেমার সঙ্গে একবার লুকিয়ে দেখা করেছিলেন অভিনেতার মা সতবন্ত কৌর। দিয়েছিলেন কোন উপদেশ?
হেমা মালিনীর সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। হেমার নাকি অভিনেতার পঞ্জাবের বাড়িতে প্রবেশের অনুমতি ছিল না। মেয়ে ঈশা দেওল বড় হওয়ার পর একবারই অভিনেতার বাড়িতে ঢুকতে পেরেছিলেন হেমা। যদিও সেই সময়ে অভিনেতার মা ছিলেন মৃত্যুশয্যায়। হেমা মালিনী তাঁর আত্মজীবনীতে জানান, অভিনেতার মা একবার তাঁর সঙ্গে একটি স্টুডিয়োয় দেখা করতে গিয়েছিলেন। হেমার কথায়, ‘‘উনি আমাকে দেখামাত্রই জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘সারাজীবন খুশি থেকো।’ আমি সেটাই আছি। শুধু ওঁর মা নন, ওঁর বাবাও আমাকে ভীষণ স্নেহ করতেন। আমার বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গেও ওঁদের খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। দেখা হলেই পাঞ্জা লড়তেন। আর বলতেন, ‘তোমরা ঘি, মাখন খাও। ইডলি, সাম্বার খেয়ে গায়ে জোর হবে না যে।’ বলেই হেসে উঠতেন।’’
আরও পড়ুন:
যদিও হেমা কখনও ধর্মেন্দ্রের প্রথম স্ত্রী প্রকাশের সঙ্গে দেখা করেননি। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থেকেও একে অপরকে এড়িয়ে চলতেন। ধর্মেন্দ্র শেষজীবনে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন। হেমা জানান, তিনি কোনও কিছু নিয়ে অভিনেতার প্রথম স্ত্রীকে হিংসা করেননি। হেমার কথায়, ‘‘আমার মধ্যে হিংসে নেই বলেই আমি পৃথিবীর অন্যতম সুখী মানুষ।’’