জেলার ২১৫টি পঞ্চায়েত মিলিয়ে উন্নয়ন খাতে জমা ছিল মোট ৪৯১ কোটি টাকা। আর্থিক বছর শেষে সব মিলিয়ে ২১৯ কোটি টাকারও বেশি পঞ্চায়েতের ভাণ্ডারে পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে গড়ে পঞ্চায়েত পিছু এক কোটি টাকারও বেশি উন্নয়নের কাজ করা যায়নি।
উন্নয়ন খাতের ওই টাকা ৩১ মার্চের মধ্যে খরচ করতে হত। পঞ্চায়েতের তহবিলে টাকা কেন পড়ে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভীষ্মদেব ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘লকডাউন হয়েছে মার্চের শেষ সপ্তাহে। তা হলে ধরেই নেওয়া যায়, সারা বছর পঞ্চায়েতগুলি কোনও কাজ করেনি। সামাজিক উন্নয়নের কথা ভাবতে পারছে না তৃণমূল। সে জন্যই টাকা পড়ে থাকছে।’’
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার বাসিন্দা, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্যে টাকা দেবেন। সে টাকা পঞ্চায়েতের তহবিলে আটকে থাকবে, এটা হতে পারে না। মানছি, ‘লকডাউন’-এর জন্য কাজ আটকে ছিল। এ বার সেই সব কাজ দ্রুত শুরু করতে জেলা পরিষদকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার বক্তব্য, ‘‘কোনও পঞ্চায়েত ৯৭ শতাংশ কাজ করেছে, তো কোনও পঞ্চায়েত ১৩ শতাংশ কাজ করেছে। জেলার গড় খরচের চেয়েও অনেক পঞ্চায়েত পিছিয়ে রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য পঞ্চায়েত স্তরে আমরা উন্নয়নের কাজে নজরদারির কথা ভাবছি।’’