Advertisement
১৯ মে ২০২৪

গভীর রাতে উল্টোল বাস, জখম ২৫ যাত্রী

বাসযাত্রী অশোক গড়াই জানান, রাত প্রায় আড়াইটা। বাসের সকল যাত্রীই ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা তীব্র ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে যায় যাত্রীদের।

দুর্ঘটনায় জখম। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনায় জখম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:২৯
Share: Save:

তারাপীঠ থেকে বাঁকুড়ায় বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হল বাস। বুধবার গভীর রাতে পানাগড়-দুবরাজপুর রাজ্য সড়কে কাঁকসার মিনিবাজার লাগোয়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানায়, প্রায় ২৫ জন যাত্রী কমবেশি জখম হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার তালড্যাংরা থেকে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন ৬৫ জন যাত্রী। যাত্রীরা জানান, প্রথমে তাঁরা নবদ্বীপ, মায়াপুর যান। সেখান থেকে বেরিয়ে বীরভূমের নানা জায়গা ঘুরে তাঁরা বুধবার তারাপীঠে পৌঁছন। সেখানে দিনভর থাকার পরে রাতের দিকে তাঁরা বাঁকুড়ার দিকে রওনা দেন। বাসযাত্রী অশোক গড়াই জানান, রাত প্রায় আড়াইটা। বাসের সকল যাত্রীই ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা তীব্র ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে যায় যাত্রীদের।

অশোকবাবু জানান, সম্বিত ফিরতেই দেখা যায়, বাস উল্টে গিয়েছে রাস্তার পাশে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছেন যাত্রীরা। বেশ কয়েকজন যাত্রীর মাথা ফেটে গিয়েছে। ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হয় কাঁকসা থানার পুলিশ। জখমদের প্রথমে পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনায় ন’জন মহিলা, দুই শিশু-সহ ২৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানায়। দিপালী গড়াই নামে এক মহিলা যাত্রী বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কে কোথায় পড়ে রয়েছি, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। শুধু কান্নার শব্দ পাচ্ছিলাম।’’

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাস চালকের চোখ লেগে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে। এর আগে চালকদের চোখ থেকে রাত-ঘুম তাড়াতে রাতে রাস্তার পাশে জলের বালতি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বেশ কয়েকটি জেলায়। এই কর্মসূচি চলছে পূর্ব বর্ধমানেও। তবে এখনও এই এলাকায় সে রকম কোনও কর্মসূচি নেওয়া হয়নি বলেই পুলিশ জানায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Acident Bus Bus accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE