ঠিক যেন সিনেমা! ব্যবসায়ীকে এক জায়গায় ডাকা। সেখানে তিনি আসতেই ব্যবসায়ীর গাড়ি হাইজ্যাক। তার পরে ছিনতাই। এখানেই শেষ নয়। তাঁকে অপহরণ করে রাতভর আটকে রেখে দাবি করা হয় মুক্তিপণ। অভিযোগ, জোর করে এক মহিলাকে এনে আপত্তিকর ছবি তুলে তা ভাইরাল করে দেবার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয় মুক্তিপণের জন্য। অবশেষে পুলিশের ‘দাবাং’ বাহিনীর তৎপরতায় মঙ্গলবার গ্রেফতার হয় ‘ডন’ জিয়ারুল শেখ ওরফে টুকাই। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা।
ঘটনার সূত্রপাত গত অগস্ট মাসের শেষের দিকে। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার বামুনগ্রামের বাসিন্দা প্রাণগোপাল মণ্ডল পেশায় চালকলের মালিক। ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন তিনি। এক অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন এসেছিল। পাত্রীর সন্ধান দেওয়ার নাম করে তাঁকে ভাতারের ধাধলসা গ্রামে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে গাড়ি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। ব্যবসায়ী নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছোতেই তাঁর চারচাকা গাড়িটি হাইজ্যাক করে ছয় জন দুষ্কৃতী। মুরাতিপুর এলাকা পেরিয়ে ক্যানেলপুলের কাছে নিয়ে গিয়ে তাঁর সোনার আংটি, হার-সহ বিভিন্ন বহুমূল্য দ্রব্য ছিনতাই করা হয়। এর পরে তাঁকে গাড়িতে তুলে বামশোর গ্রামের এক গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে দুস্কৃতীরা। ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ওই টাকা আদায় করার জন্য, ব্যবসায়ীর কাছে এক মহিলাকে এনে জোর করে আপত্তিকর ছবি তোলা হয় বলে অভিযোগ। মুক্তিপণ না পেলে সেই সব ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও পরের দিন সকালেই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
ভয়ে প্রথমে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে না পারলেও কয়েকদিন পরে ভাতার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন প্রাণগোপাল। তদন্তে নেমে বামসোর গ্রামের বাসিন্দা জিয়ারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।