কালনা কোর্টে বাবু। নিজস্ব চিত্র
তাঁর বাড়িতেই বিস্ফোরণ হয়েছিল। বিস্ফোরণের সময় হাজিরও ছিলেন তিনি। অথচ কালনার হরিহরপাড়ার বিস্ফোরণে মূল অভিযুক্ত বাবু মণ্ডলের দাবি, তিনি ঘটনায় জড়িত নন। শনিবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি থেকে কালনা এসেও সেই চক্রান্তের দাবিই করেন তিনি।
২২ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণদেবপুরের হরিহরপাড়ায় একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। বাবু ছাড়াও গুরুতর জখম হন তিন জন। তাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। বাবু প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরে শিলিগুড়িতে তাঁর খোঁজ মেলে। হাত, মুখ ও পেটের অংশ ঝলসে যাওয়া বছর ষাটেকের বাবুকে ভর্তি করা হয় সরকারি হাসপাতালে। কালনা থানা থেকে একটি দলও যায়। কয়েকদিন পরে শনিবার বাবুকে ছাড়ে হাসপাতাল। বিকেলেই কালনা থানার পুলিশ বাবুকে নিয়ে তিস্তা তোস্তা এক্সপ্রেসে রওনা দেন। অম্বিকা কালনা স্টেশনে তারা পৌঁছন রাত দুটো নাগাদ। রবিবার সকালে কালনা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে বাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় কালনা আদালতে। নীল ফুলহাতা জামা ও কালো প্যান্ট পরা বাবু আদালতে যাওয়ার পথে দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই বাড়িতে কারা ছিল জানেন তা তিনি। ভিতরে কী চলছে জানতে গিয়েই বিস্ফোরণের মুখোমুখি হন বলেও তাঁর দাবি। যদিও তাতে শরীরের সামনের অংশ ঝলসে গেল কী ভাবে, তার সদুত্তর মেলেনি। এমনকী, এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত বাবু এই ঘটনায় দলের একাংশের চক্রান্তেরও অভিযোগ করেন। যদিও তৃণমূলের তরফে আগেই তিনি দলের কেউ নন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
এ দিন বাবুকে কালনা এসিজেএম আদালতে তোলা হলে পুলিশ ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায়। বিচারক তা মঞ্জুর করেন। কালনার এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘ধৃতকে জেরা করে কেন হরিহরপাড়ায় শক্তিশালী বোমা বাঁধা হচ্ছিল তা জানার চেষ্টা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy