বোর্ডিং পাস থাকা সত্ত্বেও ব্যাগে পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকায় সস্ত্রীক বিমানে উঠতে দেওয়া হয়নি, উপরন্তু দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিখিল নির্মল। ওই বেসরকারি বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে মাস চারেক আগে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলাও করেন তিনি। শুক্রবার বর্ধমান ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের শিল্পী মজুমদার ও পঙ্কজকুমার সিংহ একটি রায়ে জানান, ওই বিমান সংস্থাকে যাবতীয় খরচ মেটানোর সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সব টাকাই রায় বেরনোর ৪৫ দিনের মধ্যে মিটিয়ে দিতে হবে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক জানান, গত ডিসেম্বরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণ কেন্দ্র সরকারের একটি প্রশিক্ষণ নিতে দিল্লি গিয়েছিলেন। পাঁচ দিন প্রশিক্ষণের পরে ১০ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরার জন্য ওই বিমান সংস্থার টিকিট কাটা ছিল। নিয়মমাফিক বিমান ধরার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছে যান তাঁরা। বোর্ডিং পাসও তাঁদের হাতে চলে আসে। কিন্তু বিমান ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে, ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’ নিয়ে বিমানে ওঠা যাবে না বলে জানানো হয়। এমনকী, তাঁদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত বাজে ব্যবহারও করেন। ফলে, তাঁরা বিমান ধরতে ব্যর্থ হন। তাঁদের টিকিটের মূল্য ফেরত না দিয়ে ‘বাতিল’ ছাপ মেরে দেওয়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ। এরপরে বারো ঘন্টা অপেক্ষা করে অতিরিক্ত ৬৯,৪৫৮ টাকা খরচ করে টিকিট কেটে অন্য সংস্থার বিমানে কলকাতা ফিরে আসেন তিনি। পরে ওই বেসরকারি বিমান সংস্থার গুরগাঁও ও দিল্লি দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তা, দিল্লি বিমানবন্দর এবং কলকাতা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও দিল্লি বিমানবন্দরের দু’জন গ্রাউন্ড ক্রুয়ের নামে অভিযোগ করেন তিনি।
কোনও আইনজীবীর সাহায্য না নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে নিখিলবাবু নিজেই মামলা লড়েন। তবে ওই মামলার কোনও শুনানিতেই বিমান সংস্থার কোনও আইনজীবী বা প্রতিনিধি আদালতে হাজির ছিলেন না। ফলে একতরফা ভাবেই মামলাটি জিতে গিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। এ দিন ওই বেসরকারি বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশ তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি। রায় হাতে পেলে সেই মতো পদক্ষেপ করবেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy