সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও চলছিল। এ বার আসানসোলের সঙ্গে কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া পুরসভার সংযুক্তিকরণ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল প্রশাসন। শুক্রবার আসানসোল মহকুমা প্রশাসনের তরফে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ঠিক হয়েছে, শহরের জনবহুল এলাকা ও সরকারি দফতরগুলিতে সাধারণের জন্য এই বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
গত বছরের ১৭ জুন মেয়াদ ফুরিয়েছে আসানসোল ও কুলটি পুরসভার। তারপর থেকে প্রশাসক নিয়োগ করেই কাজকর্ম চলছে। এ মাসে মেয়াদ শেষ হতে চলেছে রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া পুরসভারও। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এরপরেই এই তিন পুরসভাকে আসানসোলের সঙ্গে সংযুক্ত করে আসানসোলকে মেট্রোপলিটান শহর হিসেবে গ়ড়ার কথা। যদিও এই সিদ্ধান্তকে রূপ দিতে নির্ধারিত সময়ে ভোট না করানোয় বিরোধীদের একাংশ বরাবরই সমালোচনা করেছেন। হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দু’বার রাজ্য সরকারকে দু’মাসের মধ্যে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচনে যাওয়ার অনুমতি দেয় সরকারকে। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশেই আমরা আসানসোলের সঙ্গে কুলটি, জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ পুরসভার সংযুক্তিকরণের বিজ্ঞপ্তি জারি করছি।’’ অমিতাভবাবু জানিয়েছেন, রাজ্যপাল এই বিষয়ে সম্মতি জানানোর পরেই সরকারের তরফে বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে সংযুক্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির কাগজপত্র চলে আসে। জেলাশাসকের নির্দেশে সেই বিজ্ঞপ্তি আসানসোলের সব সরকারি দফতর ও জনবহুল এলাকায় টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন জুন পুরসভার সংযুক্তিকরণ নিয়ে জনশুনানির আয়োজন করা হয় তিন পুরসভা এলাকায়। স্থানীয়রা কিছু কিছু বিষয়ে আপত্তি তোলেন। আপত্তিগুলি লিপিবদ্ধ করে সরকারের কাছে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পাঠানো হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি পুরসভার ৯১টি মৌজাকে একত্র করে আসানসোলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে। বর্তমানে কুলটি পুরসভায় ৩৫টি ওয়ার্ড, রানিগঞ্জে ২৩টি ওয়ার্ড এবং জামুড়িয়ায় ২৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর সঙ্গে আসানসোলের ৫০টি ওয়ার্ড জুডডলে ওয়ার্ড সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩২টি। তবে সংযুক্তিকরণের পরে মোট কতগুলি ওয়ার্ড হবে সে বিষয়ে এখনই প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি। মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস জানিয়েছেন, এরপরে নিয়ম মাফিক এলাকা ও ওয়ার্ডগুলির পুনর্বিন্যাস হবে। তারপরই ওয়ার্ড সংখ্যা স্পষ্ট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy