Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

২৪ ঘণ্টা পরে মাটির নীচ থেকে মিলল দেহ

সোমবার এলাকার দিনু পালের বাড়িতে শৌচাগারের কাজে ব্যবহারের জন্য কুয়ো কাটছিলেন পশুপতিবাবু ও তাঁর দুই ভাই শ্রীপতি ও ভূপেন।একটি কুয়োর কাজ শেষে দ্বিতীয়টির পাট বসানোর সময় মাটি ধসে পড়ে যান পশুপতিবাবু।

তখনও চলছে উদ্ধার। —নিজস্ব চিত্র।

তখনও চলছে উদ্ধার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ১৩:১২
Share: Save:

২৪ ঘণ্টা চেষ্টার পরে দেহ মিলল কুয়ো কাটতে গিয়ে তলিয়ে যাওয়া যুবকের। সকাল থেকে দেহ না মেলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কালনার পূর্ব সাতগেছিয়া পঞ্চায়েতের মেদগাছি গ্রামের বাসিন্দারা। পরে বিকেল ৩টে নাগাদ মাটির প্রায় ৩০ ফুট নীচ থেকে দেহ মেলে পশুপতি পারুইয়ের।

সোমবার এলাকার দিনু পালের বাড়িতে শৌচাগারের কাজে ব্যবহারের জন্য কুয়ো কাটছিলেন পশুপতিবাবু ও তাঁর দুই ভাই শ্রীপতি ও ভূপেন।একটি কুয়োর কাজ শেষে দ্বিতীয়টির পাট বসানোর সময় মাটি ধসে পড়ে যান পশুপতিবাবু। গর্তের চারপাশ থেকে বালিও ধসতে শুরু করে। দাদাকে বাঁচাতে গিয়ে পড়ে জখম হন ছোট ভাই ভূপেন। হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। সন্ধ্যা থেকেই পশুপতিবাবুকে উদ্ধারের জন্য জড়ো হয় পুলিশ, দমকল।

প্রথমে কাছাকাছি আরও একটি গর্ত করে জেসিবি যন্ত্র দিয়ে মাটি তোলা শুরু হয়। তাতে লাভ না হওয়ায় ডাকা হয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের। ৩০ জনের ওই দলের সঙ্গে উদ্ধারে নামে পূর্ত দফতর, বিদ্যুৎ দফতর, মহকুমা দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর। তবে সারা রাত চেষ্টা করেও খোঁজ মেলেনি ওই শ্রমিকের। উপরন্তু, যে দোতলা বাড়ির পাশে গর্ত খুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল তার নিচের মাটি সরে যাওয়াই সেটি বিপ্পজনক আকার নেয়।

সকালেও দেহ না মেলায় ক্ষোভ চড়তে থাকে বাসিন্দাদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা সভাপতি দেবু টুডু। ১২টা নাগাদ আসেন কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। ছিলেন এসডিপিও প্রিয়ব্রত রায়, কালনার ওসি প্রণব মুখোপাধ্যায়। দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে হাজির হন ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায়। তবে বারবারই স্থানীয়দের ভিড়ে বাধা পাচ্ছিল উদ্ধার কাজ। পরিস্থিতি সামলাতে মাইক হাতে গর্ত থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানান মহকুমাশাসক এবং এসডিপিও। ভিড় ঠেকাতে তৈরি হয় দড়ির ব্যারিকেট। দুটো নাগাদ আনা হয় বড় জেসিবি যন্ত্র। এলাকার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে পিছনের রাস্তা থেকে মাটি কেটে ৩০ ফুট গর্ত তৈরির পরে মেলে দেহ।

জেলা সভাধিপতি জানান, ওই শ্রমিকের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্য তুলে দেওয়া হবে। উদ্ধারে দেরির কারণ হিসেবে তাঁর দাবি, মাটির তলায় বেশিটাই শুকনো বালি। ফলে মাটি কিছুটা খুঁড়লেই ধস নেমে যাচ্ছিল। তাই দেহ পেতে দেরি হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dead body Underground কালনা
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE