লন্ডভন্ড: ঝড়ে পড়েছে গাছ। ছিঁড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের তার। দুর্গাপুরে। ছবি: বিকাশ মশান
ঝড়-বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে ও পোস্ট পড়ে যাওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে টানা বিদ্যুৎ-বিভ্রাট চলল দুর্গাপুর জুড়ে। শনিবারও দিনভর বিদ্যুৎহীন থাকে শহরের নানা এলাকা। গরমে নাজেহাল হন বাসিন্দারা। তবে সন্ধে থেকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে।
শুক্রবার বিকেলে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে শহরের নানা জায়গায় গাছ পড়ে যায়। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। বিধাননগরের নানা জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। তার ছিঁড়ে যাওয়ায় ফুলঝোড় লাগোয়া স্টিল পার্ক, সপ্তর্ষি পার্ক, মহালক্ষ্মী পার্ক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় সারা রাত বিদ্যুৎ ছিল না। সিটি সেন্টারের সেল কো-অপারেটিভ এলাকায় শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। রাস্তার উপরে গাছ পড়ে যাওয়ায় স্টিল পার্ক মোড় থেকে মহকুমা হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তার এক দিক বন্ধ হয়ে যায় শুক্রবার সন্ধে থেকেই। এই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁটিও পড়ে গিয়েছে। শনিবার দিনভর সেগুলি মেরামতির কাজ করেন বিদ্যুৎকর্মীরা।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় জেরবার হন বাসিন্দারা। পাম্প না চলায় অনেক বাড়িতে জলসঙ্কট শুরু হয়। শনিবার চড়া গরমে নাজেহাল হন শিশু থেকে বয়স্করা। বিধানপার্কের সপ্তর্ষি কোলে, স্টিল পার্কের বিকাশ রায়েরা বলেন, ‘‘সারা দিন বিদ্যুৎ না থাকায় খুব সমস্যা হচ্ছে। কখন বিদ্যুৎ আসবে জানি না!’’
ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের কাছে ৩৩ হাজার ভোল্টের লাইনের উপরে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া শর্ট সার্কিট হয়ে বহু বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফুলঝোড় সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইনের কিছু জায়গাতেও তার ছিঁড়ে যায়। বেশ কয়েক জায়গায় খুঁটিও পড়ে যায়। শুক্রবার রাত থেকেই কাজে নামেন ডিপিএল কর্মীরা। ডিপিএল সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতের মধ্যে পরিস্থিতি আয়ত্তে এসে যাবে মলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy