সানমার্গ চিটফান্ড-কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক। —প্রতীকী চিত্র।
বর্ধমানের সানমার্গ চিটফান্ড মামলায় হালিশহরের পুরপ্রশাসক রাজু সাহানির পর আরও এক জনকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ধৃতের নাম সঞ্জয় সিংহ। দুর্গাপুরের ওই বাসিন্দা একাধিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে খবর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বুধবারই সঞ্জয়কে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এই সঞ্জয়। অভিযোগ, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ভোটের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে চান এই সঞ্জয়। নরেন্দ্রনাথ পুলিশের কাছে অভিযোগে লিখেছিলেন, “সম্ভবত শুভেন্দু অধিকারীর (রাজ্যের বিরোধী দলনেতা) হয়ে এই কাজে নামেন সঞ্জয়।” এর পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। গত ১৭ জুলাই এই মামলা করেন তৃণমূল বিধায়ক। দিন কয়েক জেলে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন সঞ্জয়। এ বার তাঁকে চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, সঞ্জয়ও রাজুর ‘ঘনিষ্ঠ’।
এর আগে সানমার্গ চিটফান্ড-কাণ্ডে হালিশহরের পুরপ্রশাসক রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে জেরা করে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য মিলিছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সংশ্লিষ্ট মামলায় তল্লাশি হয়েছে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে। সুবোধের ভাই তথা কাঁচরাপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। সুবোধ এবং কমল দু’জনেই হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অন্যান্য লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে বলেছিল সিবিআইকে। তার ভিত্তিতে সারদা ছাড়াও রোজভ্যালি, এমপিএস, সিলিকনের মতো অনেক লগ্নি সংস্থায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই তদন্তের সময় সামনে আসে সানমার্গ-কাণ্ড। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, সানমার্গের আর্থিক কেলেঙ্কারি সারদার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। মাত্র দশ বছর বাজার থেকে টাকা তোলার ব্যবসা চালিয়েছিল সংস্থাটি। তাতেই বহরে ছাপিয়ে যায় সারদা কেলেঙ্কারিকে! অন্তত টাকার অঙ্কে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্তত চার রাজ্যের অসংখ্য আমানতকারীর টাকা হাতিয়ে বেমালুম গা-ঢাকা দিয়েছেন সংস্থার কর্ণধার এবং অন্যান্য কর্তা।
সম্প্রতি বেআইনি এই অর্থ লগ্নি সংস্থার তদন্তে নেমে এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা আর ত্রিপুরায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy