মাটি ভরাট করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। বুধবার হরিশপুরে। নিজস্ব চিত্র
ফের খনি থেকে আগুন, ধোঁয়া। এ বার ঘটনাস্থল, কাজোড়া এরিয়ার হরিশপুর খোলামুখ খনি। বুধবার ওই ঘটনার পরে ফের ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ তাঁরা দেখেন, খনির দক্ষিণ দিক থেকে ধোঁয়া ও আগুন বার হচ্ছে। খবর দেওয়া হয় খনিতে। ইসিএল জানায়, মাটি ভরাট করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
কিন্তু এ দিনের ঘটনার পরেই ফের খনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। খনিকর্মী প্রসেনজিৎ আকুলি, অশোক গোপেরা জানান, এর আগেও কয়েকবার আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছে এই খনিতে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তপন পালের ক্ষোভ, ‘‘এ দিন যেখানে বিপত্তি ঘটে, তার থেকে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরে লোকালয়। ধোঁয়া ও আগুন ধরলে এলাকাবাসীর শ্বাসকষ্ট হয়।’’ আইএনটিইউসি প্রভাবিত কোলিয়ারি মজদুর শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানান, এর আগে জামবাদ, নর্থসিহারসোল, বেলবাঁধ, নিমচা, বনজেমারি খোলামুখ খনিতে একাধিক বার আগুন ধরেছে।
কোলিয়ারি মজদুর ইউনিয়য়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তরুণ গঙ্গোপাধ্যায়, সিটু নেতা মনোজ দত্তদের দাবি, খোলামুখ খনিতে কয়লা কেটে নেওয়ার পরে সেখানে কোনও ভাবেই কয়লা ফেলে রাখা চলে না। আবার কয়লা কাটার আগে মাটি, পাথর তুলে নিলে কয়লা স্তর থেকে কয়লা তুলে নিতে হবে। তা ছাড়া ওই অংশে অক্সিজেনের সংস্পর্শ ঘটলেই কয়লায় আগুন ধরবে।
যদিও খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ দিনের ঘটনায় আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। খনিতে কয়লা কেটে নেওয়া অংশে ফাটলের মধ্যে বাতাসের সঙ্গে অক্সিজেন ঢুকে যাওয়ায় ক্রমাগত তাপ সৃষ্টি হওয়ায় আগুন ধরেছে। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, কোথাও কোনও ত্রুটি হয়নি। সব দিক খতিয়ে দেখেই তাঁরা কাজ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy