Advertisement
০৭ মে ২০২৪

আধার নিয়ে বিক্ষোভ গুসকরায়

দু’মাস ধরেই আধার কার্ডের ছবি তোলা চলছে পুরসভায়। অথচ ডাক না পেয়েও ছবি তোলানো হচ্ছে না— এমনই অভিযোগে মঙ্গলবার পুরপ্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গুসকরার বাসিন্দদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুসকরা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

দু’মাস ধরেই আধার কার্ডের ছবি তোলা চলছে পুরসভায়। অথচ ডাক না পেয়েও ছবি তোলানো হচ্ছে না— এমনই অভিযোগে মঙ্গলবার পুরপ্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গুসকরার বাসিন্দদের একাংশ। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাসিন্দাদের দাবি, ক্যাম্প চলছে জেনে মঙ্গলবার সকাল থেকে লাইন দেন তাঁরা। কিন্তু পরে জানানো হয়, তাঁদের ছবি তোলা হবে না। এরপরেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায়ের ঘরে ঢুকেও বিক্ষোভ দেখান।

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা যোগীন্দর পাসোয়ানের দাবি, আগেও আধার কার্ড করার জন্য চার বার ছবি তুলেছেন। কিন্তু কার্ড আসেনি। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্লিপ দিয়ে এ দিন আসতে বলার পরেও কাজ হল না। তাঁর দাবি, ‘‘ফেরি করে সংসার চালাই। একদিন কাজে না গেলে খুব সমস্যা। কিন্তু রোজগারও কামাই গেল, কাজও হল না।’’ মাকে নিয়ে ছবি তোলাতে এসেছিলেন কল্যাণ সামন্ত। তিনি জানান, ব্যাঙ্কে আধার কার্ড জমা না করতে পারলে মায়ের পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগে দু’বার ছবি তোলা হলেও কার্ড মেলেনি বলে তাঁর অভিযোগ। বনদেবী সু, মাধবী দে, বিষ্ণু ভট্টাচার্যদেরও দাবি, আধার কার্ড না থাকায় তাঁদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

পুরপ্রধানের যদিও দাবি, পুরসভা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিদিন তিনটি করে ওয়ার্ডের ২০ জন করে বাসিন্দার ছবি তোলা হবে। আজ ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বেশি স্লিপ দিয়ে দেওয়ার জন্যই এই সমস্যা হয়েছে। যদিও ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়প্রকাশ রায় বলেন, ‘‘পুরপ্রধানের কথা অনুযায়ী তিনি বেশি লোক পাঠিয়েছিলেন।’’ তাঁর পাল্টা দাবি, প্রথম দিকে ছবি তোলার জন্য বেশি মেশিন থাকলেও পরে বড় ওয়ার্ডগুলির জন্য মেশিনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত কিছু বাসিন্দার ছবি তুতোলা বয়। বাকিদের ফের ৩০ নভেম্বর আসতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

AADHAR
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE