Advertisement
০৮ মে ২০২৪

পাইপ বসানোয় বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

পানীয় জল সংযোগের জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে লিখত অভিযোগ জানান পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও তৃণমূলের দাবি, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে ওই কাজ করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩০
Share: Save:

পানীয় জল সংযোগের জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল ঠাকুরের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে লিখত অভিযোগ জানান পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও তৃণমূলের দাবি, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে ওই কাজ করা হচ্ছে।

দিন কয়েক আগে তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল ঠাকুর মহকুমা নির্বাচনী দফতরে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে ভোটের মুখে কংগ্রেস পরিচালিত কাটোয়া পুরসভা পাইপ লাইন বসাচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে পুরসভার নিযুক্ত ঠিকাদারের কর্মীরা কাজ করতে গেলে শ্যামলবাবু বাধা দেন বলে অভিযোগ। যদিও মঙ্গলবারই মহকুমাশাসকের দফতর থেকে শ্যামলবাবুকে জানানো হয়, শহরের ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় পাইপলাইন বসানোর কাজ ২০১৪ সালের ১০ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে ফের কাজ শুরু করতে গেলে বাধা দেন শ্যামলবাবু। পাইপ না বসিয়েই ফিরে আসেন ঠিকাদারের কর্মীরা। এ দিন বিকেলে পুর কর্তৃপক্ষ মহকুমাশাসকের কাছে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে পাইপলাইন বসানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানায়।

যদিও শ্যামলবাবুর অভিযোগ, “এক বছর আগের কাজ ভোটের মুখে ফের শুরু করার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারাই লাইন বসানোর কাজ বন্ধ করেছেন।” যদিও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না করার অভিযোগেও আমল দেয়নি পুরসভা। পুরসভার তরফে জানানো হয়, পাইপলাইন বসানোর সামগ্রী নিয়মিতভাবে সরবরাহ না হওয়ায় ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময় অন্তর কাজের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেন। পুরসভা ওই আবেদন মঞ্জুর করে। মহকুমাশাসকের দফতরে সমস্ত তথ্যই জমা দেওয়া হয়েছে। কাটোয়ার মহকুমাশাসক মৃদুল হালদার বলেন, “ওই কাজ পুরসভা চালাতেই পারে। যদিও পুরসভার অভিযোগ এখনও দেখা হয়নি। ঠিকাদারের কাজের সময়সীমা বাড়ানোর কথা পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন।” তৃণমূলের কাটোয়া শহর সভাপতি অমর রামের অভিযোগ, “শহর জুড়ে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে কাজ হচ্ছে। পাইপলাইন বসানোর বিযয়টি খোঁজ নিতে হবে।”

রায়নাতেও কল চুরিতে অভিযুক্ত তৃণমূল

নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান

সরকারি সম্পত্তি চুরির অভিযোগ উঠল রায়না ১ ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির বিরুদ্ধে। দিন দুয়েক আগে তৃণমূলেরই স্থানীয় শ্যামসুন্দর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নেতা।

গত ৩০ মার্চ ওই পঞ্চায়েত সদস্যা চন্দনা কিস্কু অভিযোগ করেন, তাঁর পঞ্চায়েত এলাকার রসুইখণ্ড গ্রামে সোমনাথ চন্দ্র ওরফে বাপ্পা নামের ওই নেতা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহের পাইপলাইনের পাইপ চুরি করেছেন। গ্রামের একটি কল ভেঙে ওই প্রকল্পের কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন বলেও তাঁর দাবি। অভিযোগ হাতে পেয়ে সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪২৭, ৫০৪ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে রায়না থানার পুলিশ। তবে সোমনাথবাবুকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের দাবি, ওই ঘটনা আসলে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তার জেরেই সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছে আর এক গোষ্ঠী। অভিযুক্ত সোমনাথবাবুরও দাবি, “আমার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আসলে ওই গ্রামে জলের কলটি বসানো হয়েছিল একটি ১১০০০ ভোল্টের ট্রান্সফর্মারের নীচে। ফলে জল নিতে পারছিলেন না সাধারণ মানুষ। বারবার ওই ট্রান্সফর্মারের নীচ থেকে কল সরানোরও দাবি করছিলেন তাঁরা। কিন্তু পঞ্চায়েত বা জনস্বাস্থ্য করিগরি দফতর তাতে কর্ণপাত করেনি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় মানুষ ওই কলটি ভেঙে দিয়েছেন।” তাঁর আরও দাবি, চন্দনাদেবী সিপিএমের মদতে তাঁর বিরুদ্ধে ওই চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও চন্দনাদেবী বলেন, “সোমনাথবাবুর অভিযোগ মিথ্যা। আমার সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগাযোগ নেই। আমি গ্রামের মানুষের মুখে ওই চুরির অভিযোগ পেয়েই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE