বিদ্যালয়ের মধ্যে তৃণমূল নেতার পারিবারিক অনুষ্ঠান পালনকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুরসভার তরফে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। গুসকরার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বারোয়ারিতলার বালক অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে কৈফিয়ত চেয়েছেন স্কুল পরিদর্শক। আউশগ্রাম ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অমিত মুখোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়। তিনি নিজে এসে জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা ছিল না। এক শিক্ষককে পাঠিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাতির জন্মদিন উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিপত্তারণ বৈরাগ্য নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি তিনি। তাঁর বাড়ি লাগোয়া স্কুল চত্বরে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খাওয়াদাওয়া চলার মাঝেই পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা শহর তৃণমূল সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায় গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন। আয়োজকেরাও সব গুটিয়ে নেন।
বিপত্তারণবাবুর দাবি, “এতদিন এলাকার বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে স্কুল চত্বর ব্যবহার করা হয়েছে। বৃষ্টি পড়ছিল বলে স্কুলের সামনের কিছুটা অংশ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সরকারি স্কুলে কোনও অনুষ্ঠান করতে হলে অনুমতি লাগে, তা জানা ছিল না। ভুল হয়ে গিয়েছে। জানার সঙ্গে সঙ্গেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কঙ্কাবতী ঘোষ মণ্ডলকে বারবার ফোন করে পাওয়া যায়নি। মেসেজেরও উত্তর দেননি তিনি।
গুসকরার বিজেপি নেতা পতিতপাবন মণ্ডলের কটাক্ষ, “গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের দখলদারি চলছে। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন নেতারা। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।’’ যদিও কুশলবাবুর দাবি, “না জেনে, ভুল করে ফেলেছেন বিপত্তারণবাবু। অহেতুক রাজনীতি করার মানে নেই।”