Advertisement
E-Paper

আধারে ‘দালাল-রাজ’, সরব বিধায়ক

আধার কার্ড তৈরি করতে আসানসোলে একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েছিলেন। কিন্তু কার্ড পেতে প্রায় ছ’মাস দেরি হবে শুনে এক দালালকে ৮০০ টাকা দিয়ে তিন দিনের মধ্যে কার্ড পেয়ে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ০০:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েত ও প্রতিটি ওয়ার্ডে আধার কার্ড পরিষেবা কেন্দ্র চালু করার দাবিতে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজির কাছে ই-মেল পাঠালেন রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত। পাশাপাশি, রুনুবাবুর অভিযোগ, আধার কার্ড পাইয়ে দেওয়ার নামে নানা এলাকায় দালাল-উৎপাতও দেখা যাচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জের নানা এলাকায় ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’-এর মাধ্যমে আধার কার্ড সংশোধন ও নতুন কার্ড তৈরি করা হয়। কিন্তু ওই সেন্টারগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে শুধু রানিগঞ্জে ডাকঘর থেকে আধার কার্ড তৈরি করা হচ্ছে। নাগরিকদের একাংশের দাবি, কার্ডের জন্য আবেদন করার পরে অন্তত ছ’মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পাশাপাশি, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়েও ভোর থেকে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবাগত নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন নাগরিকেরা, জানান বিধায়ক। তিনি জানান, মিড-ডে মিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, হাসপাতালে চিকিৎসা, পঞ্চায়েত স্তরে শংসাপত্র পাওয়ার মতো নানা পরিষেবায় সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার আধার কার্ড থাকাটা জরুরি।

আসানসোল ও দুর্গাপুরে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের কয়েকটি শাখা থেকে আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের কাজ করা হচ্ছে। রুনুবাবুর অভিযোগ, আসানসোল ও দুর্গাপুরে আধার কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে দালাল চক্র তৈরি হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কার্ড করাতে গেলে কয়েকমাস পরে কার্ড হাতে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দালালদের ‘সৌজন্যে’ এক সপ্তাহের মধ্যে কার্ড মিলছে।’’

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন নাগরিকদের একাংশও। বল্লভপুরের নূপুর গ্রামের পরেশ বাউড়ি জানান, তাঁর পিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আধার কার্ড তৈরি করতে আসানসোলে একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েছিলেন। কিন্তু কার্ড পেতে প্রায় ছ’মাস দেরি হবে শুনে এক দালালকে ৮০০ টাকা দিয়ে তিন দিনের মধ্যে কার্ড পেয়ে যান। অথচ, নূপুরের আরও এক বাসিন্দা কার্ডে তাঁর নামের বানান ঠিক করানোর জন্য, বল্লভপুরের এক জন ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য রানিগঞ্জ ডাকঘরে গেলে নতুন কার্ড পেতে ছ’মাস সময় লাগবে বলে জানতে পেরেছেন।

তবে ডাকঘর ও ব্যাঙ্কগুলির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তারা দালালদের উৎপাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই আধার কার্ডের কাজ করতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে খানিকটা দেরি হচ্ছে। যদিও জেলাশাসক পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আধার কার্ড করানো বা কার্ড পরিবর্তন করানোর ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ডাকঘর ও ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়া, প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় শিবির করারও পরিকল্পনা নিচ্ছে।’’

Adhar Card Brokery
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy