Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

হামলার মাঝে পড়ে খুন, নালিশ

রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকাকালীনই ওই গোলমালের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন বছর পঞ্চান্নর বাবলু শেখ। অভিযোগ, তিন রাউন্ড গুলি চলে।

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবলু শেখের পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবলু শেখের পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৫:০২
Share: Save:

ফুটবল মাঠে শুরু হওয়া অশান্তির রেশ ছড়িয়েছিল ফুঁটিসাকো-কুলি বাদশাহী রোডে। রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকানে বসে থাকাকালীনই ওই গোলমালের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন বছর পঞ্চান্নর বাবলু শেখ। অভিযোগ, তিন রাউন্ড গুলি চলে। তারই একটি গেঁথে যায় তাঁর পেটে। শনিবার দুপুরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মারা যান তিনি। রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ তৃণমূলের পতাকা লাগানো পিকআপ ভ্যানে তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় কেতুগ্রামের মোড়গ্রামের সূর্যপাড়ায়। শোকার্ত পরিজনের অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর হামলা-গুলির মাঝে পড়ে খুন হয়েছেন বাবলু। দোষীদের শাস্তিও চেয়েছেন তাঁরা।

যদিও পুলিশের দাবি, রবিবার রাত পর্যন্ত খুনের কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

গত বৃহস্পতিবার কেতুগ্রামের বেড়ুগ্রামে মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ চলার মাঝে যুব তৃণমূলের এক নেতাকে মারধরের ঘটনা। পরে তাঁর এক আত্মীয়ের দোকানেও হামলা হয়। ছোড়া হয় গুলি। তখনই আহত হন বাবলু শেখ ও সুনীল মাঝি নামে দু’জন। ঘটনার পরে পুলিশ টহল ছিল গ্রামে। এ দিনও কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গ্রাম ঘিরে ছিল। নিহতের বাড়িতে এসেছিলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ সাহানেওয়াজও। তিনি বলেন, ‘‘বেরুগ্রামে আমাদের অঞ্চল যুব সভাপতিকে মারধর করা হয়েছিল। পরে মোড়গ্রামে এসে গুলি চালানো হয়। এতে নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এক জন গুলিতে আহতও হয়েছেন। দোষীদের শাস্তি চাইছি।’’

সূর্যপাড়ায় মৃতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নাগাড়ে কেঁদে চলেছেন পরিজনেরা। ভিড় জমিয়েছেন প্রতিবেশী, গ্রামের অন্য বাসিন্দারাও। বাবলু শেখের স্ত্রী রুলিয়া বিবির দাবি, ‘‘ওই দিন বিকেল ৪টে নাগাদ ভাত খেয়ে দু’কিলোমিটার দূরে মোড়গ্রাম নিচুবাজারে গিয়েছিলেন আমার স্বামী। চায়ের দোকানে বসে গল্প করার সময়ে অন্য এক জনকে মারতে এসে আমার স্বামীর পেটে গুলি করা হয়।’’ ছেলে ডাবলু শেখেরও আর্জি, দোষীরা যেন ছাড়া না পায়।

পাশের কুলুট গ্রামের মাঝিপাড়ার বাসিন্দা, আহত সুনীল মাঝি বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দিনমজুর সুনীলবাবুর কিশোর ছেলে মিলন বলে, ‘‘বাবা আমাকে জুতো কিনে দেবে বলে নিচুবাজারে নিয়ে গিয়েছিল। একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে এক জনের সঙ্গে কথা বলছিল। তখনই দেখি একটি লোক গুলি চালাচ্ছে।

একটি গুলি ছিটকে এসে বাবার হাঁটুর উপরে লাগে।’’ জেলা পুলিশের এক কর্তার আশ্বাস, পরিস্থিতির উপরে নজর রয়েছে। খুনের অভিযোগ হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ketugram Firing Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE