Advertisement
২০ মে ২০২৪

ডেঙ্গি রুখতে ১০৬ ওয়ার্ডে এক বিশেষজ্ঞ

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় মশার দাপট। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যের পুরসভগুলির কাছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও এনসেফেলাইটিস রোধে এ বার জানুয়ারিতেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল নবান্ন থেকে।

সুশান্ত বণিক
আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৭
Share: Save:

এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় মশার দাপট। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যের পুরসভগুলির কাছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া ও এনসেফেলাইটিস রোধে এ বার জানুয়ারিতেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ এসেছিল নবান্ন থেকে। মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকও। কিন্তু এই সব নির্দেশ কতটা কার্যকর হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোলের বাসিন্দাদের অনেকে। কারণ, শহরের বিভিন্ন জায়গায় মশায় অতিষ্ঠ অবস্থা নাগরিকদের। পুর কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, সরকারের নির্দেশ মতো কাজ শুরু করা হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, যেমন নির্দেশ এসেছে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হলে প্রয়োজন বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ কর্মীর। দরকার পতঙ্গবিদও। শহরের কোথায় কোন সময়ে কী প্রজাতির মশা ডিম পাড়ছে, সেই সব তথ্য থাকতে হবে পুরসভার কাছে। তার ভিত্তিতে মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু সেই রকম কর্মীর বেশ অভাব রয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, তাঁদের এখনও কোনও পতঙ্গবিদ নেই। তবে এক জন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়েছে। মশার বংশবৃদ্ধি রোধ ও লার্ভা ধ্বংস করতে ওই বিশেষজ্ঞের নির্দেশে ছ’শো কর্মী ১০৬টি ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেছেন। মেয়র বলেন, ‘‘নবান্নের নির্দেশ পাওয়ার পরেই বিশেষজ্ঞ নিয়োগ ও কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ওই কর্মীরা এলাকায় ঘুরে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার প্রচারও করছেন।

গত কয়েক বছরে রাজ্যের অন্য নানা জায়গায় যে হারে ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া ছড়িয়েছে, আসানসোল মহকুমায় পরিস্থিতি ততটা ভয়াবহ ছিল না। তবে মশার দৌরাত্ম্য ছিলই। তাই শহরবাসী আতঙ্কে থাকেন। এ বারও ইতিমধ্যে সন্ধে নামলেই যে ভাবে মশার দাপট শুরু হচ্ছে, তাতে বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভার তরফে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।

পুরসভার এক আধিকারিকের অবশ্য দাবি, এপ্রিলের গো়ড়া থেকে বিভিন্ন এলাকায় মশা মারার ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। সব এলাকাতেই পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এনসেফেলাইটিসের ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জন্য সচেতনতা তৈরির প্রচার চালানো হচ্ছে। জ্বর হলেই হাসপাতালে যাওয়া, রক্তের নমুনা পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এলাকায় জ্বরের প্রকোপ হলে পুরসভাকে খবর পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ম্যালেরিয়া রোধে জল জমিয়ে রাখা বন্ধ করতে পুরকর্মীরা অভিযান চালাচ্ছেন। বর্ষার সময়ে এলাকায় ছড়ানোর জন্য বরো অফিসগুলিতে ব্লিচিং পাউডার মজুত করা হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের আশ্বাস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE