রাজ্যে আবার এক বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বন্দির! পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। একই সঙ্গে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন বর্ধমানের সিজেএম বিনোদ মাহাতো।
জানা গিয়েছে, মৃত বন্দির নাম দেবাশিস দে (৫৪)। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল দক্ষিণ থানার এসবি গড়াই রোডের একটি আবাসনে থাকতেন তিনি। ২০২৪ সালের অগস্ট মাসের ধর্ষণ এবং প্রতারণার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আসানসোলের জেলা ও দায়রা আদালতে ওই মামলার বিচার চলছে। গ্রেফতারের পর কয়েক দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন দেবাশিস। তার পর থেকে আসানসোল সংশোধনাগারেই ছিলেন। সেখানেই দিন কয়েক আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জেল হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১৫ নভেম্বর তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই বিচারাধীন বন্দির।
ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানা তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই তাঁর ময়নাতদন্ত হয়। বর্ধমানের সিজেএম চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বন্দিমৃত্যুর ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে জাতীয় এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বর্ধমান সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, কলকাতায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বুধবার এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সকালে সংশোধনাগার চত্বরের একটি গাছ থেকে সন্দীপ দাস নামে ওই বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। কী ভাবে ওই বন্দির মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আত্মহত্যা না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।