Advertisement
E-Paper

পেট ব্যথায় অ্যান্টি ভেনম, অভিযোগ

পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বছর সাঁইত্রিশের মারুফা বিবি। অভিযোগ, তাঁকে সাপে ছোবল মেরেছে সন্দেহ করে টানা অ্যান্টি ভেনম সেরাম দিতে থাকেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এরপরেই দেহ ফেলে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০০:২৭
ক্ষোভ জানাচ্ছেন মারুফা বিবির পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।

ক্ষোভ জানাচ্ছেন মারুফা বিবির পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।

পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বছর সাঁইত্রিশের মারুফা বিবি। অভিযোগ, তাঁকে সাপে ছোবল মেরেছে সন্দেহ করে টানা অ্যান্টি ভেনম সেরাম দিতে থাকেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। এরপরেই দেহ ফেলে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনেরা। যদিও হাসপাতালের দাবি, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না পেলে কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।

এর আগেও একাধিক বার বর্ধমান মেডিক্যালে রোগীমৃত্যুতে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, বর্ধমান তো বটেই, আশপাশের একাধিক জেলা যে হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল সেখানে কাজকর্ম এত ঢিলেঢালা কেন। রাতে নার্স-চিকিৎসক না থাকা, উপযুক্ত পরিষেবা না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে বারবার। বীরভূমের নানুর থানার আঁতকুল গ্রামের ওই পরিবারও এ দিন অভিযোগ জানিয়েছে, বারবার বলার পরেও সারা রাত ধরে ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে রোগীর। মৃতার স্বামী শেখ নয়ন বর্ধমান মেডিক্যআল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ও বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন।

তাঁর দাবি, রবিবার ভোর পাঁছটা নাগাদ পেটে ব্যথা নিয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় মারুফা বিবিকে। সেখানকার চিকিৎসকরা পেটের ভিতর ঘা হয়েছে বলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেন। দুপুর ২টো নাগাদ মারুফা বিবিকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। মৃতার স্বামীর অভিযোগ, “ভর্তি করানোর পর থেকেই সাপে কাটার ইঞ্জেকশন একের পর এক দিতে থাকেন ডাক্তারেরা। আমরা বলি, পেটে ঘা হয়েছে, সেই রিপোর্ট দেখুন। কিন্তু ওই চিকিৎসকরা আমাদের জোর দিয়ে জানান, মারুফাকে সাপেই কামড়েছে।’’ ওই রাতে মায়ের কাছেই ছিলেন কলেজ পড়ুয়া নয়না খাতুন। তাঁরও অভিযোগ, ‘‘মা ব্যথায় ছটফট করছেন, তখনও ডাক্তারবাবুরা সাপে কামড়ানোর ওষুধ দিয়ে যাচ্ছিলেন।’’ পরে দুপুর নাগাদ মারা যান ওই মহিলা। এরপরেই ভুল চিকিৎসার অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডের ৫ নম্বর ব্লকে মৃতদেহ ফেলে রেখেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। শেষে বর্ধমান থানা থেকে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করে। তখনও মৃতের পরিজনরা ময়না-তদন্ত না করানোর গোঁ ধরেছিলেন। শেষমেশ পুলিশ দেহ তুলে হাসপাতালের ঘরে ঢুকিয়ে দেয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ ইউনিট অ্যান্টি ভেনম সেরাম দেওয়া হয়েছে ওই মহিলাকে। যদিও তাঁকে সাপে কেটেছিল কি না তা স্পষ্ট করে বলতে চাইছেন না কেউ। ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই সঠিক কারণ বোঝা যাবে।” জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

Burdwan Medical College AntiVenom stomach pain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy