আগের দিনই বেজার মুখে বসেছিলেন দোকানদার। শীতের যেমন দেখা নেই, ক্রেতারও আনাগোনা নেই। বৃহস্পতিবার সেই দোকানদারেরই মুখে হাসি। আচমকাই বেশ জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ায় শীতবস্ত্র কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছেন মানুষজন। হাসি ফুটেছে কাবাব-তন্দুরির দোকানদারদের মুখেও। তবে সন্ধ্যা নামার পর থেকে ফাঁকা হতে শুরু করছে শহরের রাস্তাঘাট।
আসানসোল-দুর্গাপুরে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা দাঁড়ায় ১২ ডিগ্রিতে। বুধবার রাতে সেটাই নেমে আসে ৯ ডিগ্রিতে। বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ, শুক্রবারও সে রকমই তাপমাত্রা থাকবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাষ।
শীতবস্ত্রের সম্ভার নিয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অপেক্ষায় ছিলেন দোকানদারেরা। কিন্তু অর্ধেক ডিসেম্বর পেরিয়ে গেলেও সে ভাবে ঠান্ডা না পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে আশা করছিলেন, কিছু দিনের জন্য হলেও পারদ নামবে। তখন বিক্রিবাটা হবে। বুধবার বিকেল থেকে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে যায়। সন্ধ্যা নামতেই কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হয়। এরই মধ্যে ভিড় বেড়েছে শীতবস্ত্রের দোকানে। বেনাচিতির একটি দোকানের কর্মী বিনোদ দাস বলেন, ‘‘বুধবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন সোয়েটার কিনতে এসেছিলেন।’’ বাইরে থেকে এসে অস্থায়ী স্টলে শীতবস্ত্র নিয়ে বসা বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফুটেছে।