জেলা আদালত ভবন তৈরির পাশাপাশি খোলনলচে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে আসানসোল আদালতের। ভবণের আধুনিকীকরণ ও সৌন্দর্যায়নের জন্য খরচ করা হবে প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর জন্য অর্থ অনুমোদন করেছে রাজ্য সরকার। কাজের রূপরেখা তৈরি করতে ভবন চত্বর ঘুরে দেখেছেন সরকার ও বিচার বিভাগের পদাধিকারীরা।
আসানসোলের ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত ভবনের আধুনিকীকরণের দাবি অনেক দিনের। এত দিন এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। আসানসোল ও দুর্গাপুর নিয়ে নতুন জেলা হতে চলেছে, এই ঘোষণার পরে আলাদা ভাবে তৈরি হচ্ছে জেলা আদালত ভবন। এ বার শহরের পুরনো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত ভবনের আধুনিকীকরণের কাজও শুরু হচ্ছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার এর জন্য অর্থ অনুমোদন করেছে। কাজ দ্রুত শুরু হবে।’’ জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ভবনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আমূল পাল্টানো হবে। আদালতের ঘরগুলি বাতানুকূল করতে একাধিক ট্রান্সফর্মার বসানো হবে পূর্ত দফতরের তত্বাবধানে। জেলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই সব কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রায় তিন মাস কাজ বন্ধ থাকার পরে সোমবার থেকে ফের জেলা আদালত ভবন তৈরির কাজ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থা। সরকার বকেয়া না মেটানোয় অগস্ট থেকে নির্মাণ বন্ধ করেন সংস্থার মালিক সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘বকেয়া চলে এসেছে খবর পেয়ে কাজে হাত দিয়েছি।’’ শনিবার শহরে এসে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব মলয় দে থমকে থাকা জেলা আদালত ভবনের নির্মাণ কী ভাবে দ্রুত শুরু করা যায় তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। বকেয়া প্রসঙ্গে ঠিকা সংস্থার মালিককে ডেকেও আলোচনা করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা আদালত ভবনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসানসোল আদালতের তৃতীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষটি জেলা জজের অস্থায়ী কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে। এই সময়ে তৃতীয় ম্যাজিষ্টেটের এজলাস বসবে আসানসোলের সিবিআই আদালতের পাশের ঘরে। জেলা জজের জন্য শহরের স্টেডিয়াম লাগোয়া একটি ফাঁকা আবাসন সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy