Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
University of Burdwan

সকাল থেকে তোড়জোড়, পদে যোগ সহ-উপাচার্যের

কোনও বিতর্কে না ঢুকে এ দিন দুপুরে উপাচার্য নিমাই সাহা শুধু বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে আশিসবাবু সহ-উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছেন। আজ থেকেই তিনি দায়িত্ব সামলাবেন।’

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৬:৪৫
Share: Save:

নিজের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগের নির্দেশিকা বার করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক গৌতম চন্দ্রকে ওই পদে নিয়োগের নির্দেশিকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার সে পদে যোগ দিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর মনোনীত প্রার্থী আশিসকুমার পাণিগ্রাহি।

কোনও বিতর্কে না ঢুকে এ দিন দুপুরে উপাচার্য নিমাই সাহা শুধু বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে আশিসবাবু সহ-উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছেন। আজ থেকেই তিনি দায়িত্ব সামলাবেন।’’ সোমবারই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের মনোনীত প্রার্থীকে পদে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। এ দিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলপন্থী কর্মী সংগঠন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবন রাজবাটী ক্যাম্পাসে হাজির ছিলেন। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কল্যাণী থেকে আশিসবাবু এসে পৌঁছন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন আইন অনুযায়ী, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে কে বসবেন, তা ঠিক করতে হবে। আইন অনুযায়ী, একই নাম দু’বার আচার্যের কাছে পাঠালে তাতে সম্মতি দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি তা না করে এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই গৌতমবাবুর নাম সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। তা আইন মোতাবেক নয় বলে দাবি করা হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক উপাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘নতুন আইনে, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই সহ-উপাচার্য ঘোষণা করা যাবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য এবং ডিন পদের জন্যে ‘সার্চ’ কমিটি রয়েছে। তবে সহ-উপাচার্য কে হবেন, তা সাধারণত ঠিক করে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। আগের দু’জন সহ-উপাচার্যকে উচ্চশিক্ষা দফতর থেকেই নিয়োগ করা হয়েছিল।

যদিও গৌতমবাবু এ দিন দাবি করেন, ‘‘আমি শিক্ষা জগতের মানুষ। ‘বায়োডেটা’ দেখেই সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগের যোগ্যতা মাপা উচিত বলে মনে করি। বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি আবেদন করেছিলাম। রাজ্যপাল ‘বায়োডেটা’ দেখে আমাকে মনোনীত করেছিলেন। আমার কাছে নিয়োগপত্র এলে পদে যোগ দিতে যাব।’’ তাঁর আরও দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে তিনি সরকারের হয়ে বিনা পারিশ্রমিকেই নানা ভূমিকা পালন করেছেন। রাজ্যপালের নির্দেশ উচ্চশিক্ষা দফতর মানল না কেন, তা নিয়ে তিনি বিস্মিত বলেও জানান।

এ দিন আশিসবাবু কাজে যোগ দেওয়ার পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা আমিরুল ইসলামের (রামিজ) বক্তব্য, ‘‘এক পদে তো আর দু’জন যোগ দিতে পারবেন না!’’ এবিভিপি-র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা আশিস পাল বলেন, ‘‘প্রশাসনিক পদে কে বসবেন, তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমরা চাই, শিক্ষার পরিবেশ বজায় থাকুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

University of Burdwan Assistant Vice Chancellor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE