Advertisement
E-Paper

দেড় মাস আগে আশ্বাস, সংস্কার হয়নি বনফুল সরণি

দীর্ঘদিন ধরে পুরসভাকে রাস্তার হালের কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় গত মে-তে রাস্তাটি সংস্কারের আর্জি জানিয়ে এডিডিএ-কে চিঠি দেন। জুলাইয়ে রাস্তাটি অবিলম্বে সারাইয়ের দাবি তুলে বাম প্রভাবিত বিভিন্ন গণ সংগঠন রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, কাগজের নৌকা ভাসিয়ে প্রতিবাদ জানায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:১১
 এ পথেই নিত্য ভোগান্তি। নিজস্ব চিত্র

এ পথেই নিত্য ভোগান্তি। নিজস্ব চিত্র

এই রাস্তায় যাতায়াতের জন্য টোল দিতে হয় দুর্গাপুর পুরসভাকে। রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে অন্তত দেড় মাস আগে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ) আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু দুর্গাপুরের বেহাল বনফুল সরণির সংস্কারের কাজ এ পর্যন্ত শুরু হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসী থেকে নিত্য যাতায়াতকারী ট্রাক চালকদের।এাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, সগড়ভাঙার বিভিন্ন বেসরকারি কারখানার ভারী ট্রাক চলাচল করায় এইসবি রোড থেকে বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানা পর্যন্ত দীর্ঘ এই রাস্তাটি বেহাল। ফলে, এই খন্দে ভরা রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন বলে জানান আশপাশের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পুরসভাকে রাস্তার হালের কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। পুরসভার ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় গত মে-তে রাস্তাটি সংস্কারের আর্জি জানিয়ে এডিডিএ-কে চিঠি দেন। জুলাইয়ে রাস্তাটি অবিলম্বে সারাইয়ের দাবি তুলে বাম প্রভাবিত বিভিন্ন গণ সংগঠন রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, কাগজের নৌকা ভাসিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এর পরে, অগস্টের প্রথম সপ্তাহে এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তাটি পরিদর্শন করে দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দেন।

কিন্তু তার পরেও রাস্তা সংস্কার হয়নি। শনিবার বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘‘রাস্তা বলে আর কিছুই নেই বনফুল সরণিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। তাপ্পি মেরে কোনও লাভ হবে না। তাই বেশি অর্থ ব্যয় করে এডিডিএ রাস্তাটির আমূল সংস্কার করবে বলে ঠিক হয়েছে। তবে কাজ এখনও শুরু হয়নি।’’ স্থানীয় বাসিন্দা আশিস রায়, শেখ সুভানেরা বলেন, ‘‘বাইরে থেকে কেউ এলে অবাক হয়ে যান। শিল্প শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা মাসের পরে মাস বেহাল। পিচ উঠে গিয়েছে। মোটরবাইক চালানো যায় না। বর্ষায় খন্দে জল জমে ডোবার চেহারা নিয়েছে। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে।’’ ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ট্রাক নিয়ে যাতায়াত করেন বিশ্বনাথ বাল্মীকি। তিনি বলেন, ‘‘বিপদ মাথায় যাতায়াত করি। যে কোনও সময়ে ট্রাক উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে। তা ছাড়া, ট্রাকের যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হচ্ছে।’’ অথচ, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হলে পুরসভার তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি বেসরকারি সংস্থাকে টোল দিতে হয়। সাধারণ গাড়ি, মিনিবাস প্রভৃতির জন্য ১৫০টাকা, ছ’চাকার বেশি ট্রাকের জন্য দু’শো টাকা এবং ১৬ চাকার ট্রাকের জন্য তিনশো টাকা করে টোলনেয় সংস্থাটি।এডিডিএ-র চেয়ারম্যান তাপসবাবু বলেন, ‘‘কারখানার ভারী ট্রাক চলাচলের জেরেই রাস্তাটি খারাপ হয়েছে। এর আগে এডিডিএ রাস্তার সংস্কার করেছিল। আগামী সপ্তাহে এলাকার সব কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক হবে। রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কারখানাগুলিও যাতে আর্থিক সহযোগিতা করে, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।’’

Banaful sarani
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy