কিছু দিন আগেই হাসপাতালে রোগীদের খাবারের মান নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তার পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আচমকা পরিদর্শনে এসে খাবারের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন মহকুমাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। তবে একই সঙ্গে হাসপাতাল চত্বরের অপরিচ্ছন্নতা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তিনি।
হাসপাতাল পরিদর্শন করার সময়ে কাটোয়ার অপারেশন থিয়েটারটির প্রশংসা করেন মহকুমাশাসক। কিন্তু হাসপাতাল চত্বর দেখেই তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আরও পরিচ্ছন্নতা দরকার। হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি এগিয়ে আসা উচিত রোগীর পরিজনদেরও।’’ সূত্রের খবর, এ দিনও হাসপাতাল চত্বরে মদের ভাঙা বোতল, ডাঁই করা আবর্জনা দেখা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স অ্যাসেসমন্ট’ প্রকল্পকে সফল করতে পরিচ্ছন্নতা ও রোগীদের খাবারের মান ঠিক রাখায় জোর দেওয়া হচ্ছে। বুধবারই ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নজরদারিতে হাসপাতালে আসে স্বাস্থ্য ভবনের চার সদস্যদের প্রতিনিধিদল। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকও হয় প্রতিনিধি দল ও হাসপাতালের কর্তাদের। এই পরিস্থিতিতে ফের ‘অপরিচ্ছন্নতা’র বিষয়টি সামনে আসায় খানিক অস্বস্তিতে হাসপাতালের কর্তারা। যদিও হাসপাতালের সহকারি সুপার অনন্য ধর বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ভাল নম্বর পেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য অর্থসাহায্য মিলবে। হাসপাতালের উন্নয়নে সব রকম ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
ফেব্রুয়ারির গোড়ায় জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এ দিনও খাবারের মান কেমন জানতে পুরুষ ও মহিলা বিভাগের রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন মহকুমাশাসক। খাবার চেখে দেখে তিনি বলেন, ‘‘খাবার যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন। ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়া হচ্ছে।’’ কিন্তু কী ভাবে অল্প সময়ের মধ্যে এমন ভোলবদল? পরিদর্শন শেষে মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘বারবার হুঁশিয়ারিতে কাজ হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy