Advertisement
E-Paper

নুন আসে না, পরিশোধন ছাড়া জল সরবরাহ

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে নিউকেন্দা কোলিয়ারির ঢোলবাঁধ পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির অপরিশোধিত জল পাম্পের সাহায্যে সরাসরি এই কলোনির কর্মীআবাসনে সরবরাহ করা হত। সেই জল বাড়ির নানা কাজে ব্যবহার করতেন আবাসিকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৫৯
ফিল্টার প্ল্যান্ট। নিজস্ব চিত্র

ফিল্টার প্ল্যান্ট। নিজস্ব চিত্র

নুন দেন না কর্তৃপক্ষ, অভিযোগ কর্মীদেরই। তাই শোধনাগার (ফিল্টার প্ল্যান্ট) থাকলেও জল-শোধন হয় না বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে ইসিএলের বিরুদ্ধে অপরিশোধিত জল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে ইস্টকেন্দা কলোনির কর্মী আবাসন ও লাগোয়া এলাকায়।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে নিউকেন্দা কোলিয়ারির ঢোলবাঁধ পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির অপরিশোধিত জল পাম্পের সাহায্যে সরাসরি এই কলোনির কর্মীআবাসনে সরবরাহ করা হত। সেই জল বাড়ির নানা কাজে ব্যবহার করতেন আবাসিকেরা। ২০১৪-২০১৫ আর্থিকবর্ষে ইস্টকেন্দা কলোনির উড়িয়াপাড়ার পাশে ‘জল-শোধনাগার’ (ফিল্টার প্ল্যান্ট) তৈরি করা হয়। সেখানে ১০ হাজার গ্যালন জল পরিশোধনের পাশাপাশি জলাধারও তৈরি করা হয়।

আবাসিকদের অভিযোগ, পরিত্যক্ত ঢোলবাঁধ খোলামুখ খনিতে এলাকার বিভিন্ন নর্দমার জল গিয়ে মেশে। সেই জল বছরের অধিকাংশ সময় শোধন না করেই সরবরাহ করা হয়। কেন এই অবস্থা? পরিশোধনাগারের অপারেটর দীনেশ রাম জানান, ওই পরিত্যক্ত খাদানের জল প্রথমে জল পাম্পের সাহায্যে তুলে পরিশোধন যন্ত্রে ফেলা হয়। তার পরে ক্লোরিন যন্ত্রের সাহায্যে ওই জলে নুন মেশানো হয়। তার পরেও জলে মিশে থাকা নোংরা ও গন্ধ কাটে না। দীনেশবাবু বলেন, “প্রতিদিন তিন থেকে চার কেজি নুন প্রয়োজন। কিন্তু তা সরবরাহ করা হয় না। শেষবার দু’মাস আগে ন’কেজি নুন দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা দু’দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। ফলে, প্রায় বছরভর জলে নোংরা থাকে। জলে লেগে থাকে আঁশটে গন্ধ। সেই জলই সরবরাহ করা হচ্ছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, জলাধারগুলিও সাফাই হয় না।

অথচ, ইস্টকেন্দা কলোনিতে দেড় হাজার কর্মী আবাসন ছাড়া কেন্দাগ্রাম, চার নম্বর ও মাটিধাওড়ায় হাজারখানেক পরিবার ওই জল ব্যবহার করেন। নিউকেন্দা কোলিয়ারির কর্মীসমবায়ের সচিব দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, খনিকর্মী অনাথবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেশ রাম বলেন, ‘‘এই জল পানের অযোগ্য। এই জল ব্যবহার করায় এক সময় পেটের রোগের প্রকোপ বেড়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বেশির ভাগ বাসিন্দা এই জল পান করছেন না। আবার বাসিন্দাদের একাংশ জল ফুটিয়ে খাচ্ছেন।’’ তা ছাড়া জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে জল সরবরাহও পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে অনেককেই পানীয় জল কিনতে হচ্ছে।

যদিও নিউকেন্দা কোলিয়ারির ম্যানেজার ইন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এমনটা হওয়ার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Water Supply Salt ECL Compalin Filter Plant
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy