ফাইল চিত্র।
আবাস প্রকল্পের সমীক্ষায় মঙ্গলকোটের ১৫টি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় চার হাজার ভুয়ো আবেদনকারী চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে দাবি ব্লক প্রশাসনের। ওই আবেদনকারীদের অনেকেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
বিডিও (মঙ্গলকোট) জগদীশচন্দ্র বারুই বলেন, “১৫টি পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১৪,৯০০ জনের নাম আবাস যোজনা তালিকায় ছিল। সমীক্ষার পরে প্রায় চার হাজার নাম বাদ পড়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবাস-প্রকল্পে নাম তোলার হিড়িক পড়েছিল মঙ্গলকোটে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ অনেকের নামই তালিকায় উঠে যায়। সম্প্রতি সমীক্ষা শুরু হতেই ভুয়ো আবেদনকারীর নাম সামনে আসতে শুরু করে। দেখা যায়, তালিকায় নাম রয়েছে মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের পাবর্তী মাঝি ও তাঁর কয়েক জন আত্মীয়ের। এ নিয়ে শোরগোল পড়ে। প্রধানের কোনও প্রতিক্রিয়া বুধবার মেলেনি।
পশ্চিম মঙ্গলকোটের এক বাসিন্দার দাবি, “এলাকার প্রত্যেক গ্রামে অনেকের কাঁচা বাড়ি। ঝড়-বৃষ্টিতে ঘরে জল ঢুকে যায়। আবাস প্রকল্পের সুবিধা থেকে প্রকৃত গরিবেরা বঞ্চিত। অথচ, পাকা বাড়ি ও গাড়ি থাকা অনেকের নাম তালিকায় রয়েছে। প্রত্যেক গ্রামে এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।” মঙ্গলকোটের সিপিএম নেতা শাজাহান চৌধুরীর অভিযোগ, “আবাস-প্রকল্পে তৃণমূলের দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছে। গ্রামে গ্রামে জনমত গড়ে তুলব।” একই বক্তব্য মঙ্গলকোট ব্লক কংগ্রেস সভাপতি গুরুসদয় চৌধুরীর। জেলা (কাটোয়া) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায়ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, “প্রকৃত গরিবেরা যাতে বাড়ি পান, সে লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার সমীক্ষা করছে। এ নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করতে চাইছে। তাতে লাভ হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy