Advertisement
E-Paper

নোটের মার, কেক বানায়নি বেকারি

বড়দিন এলেই প্রতি বার কালনার বহু যুবক অস্থায়ী দোকান তৈরি করে কেক বিক্রি শুরু করেন। নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না বেকারির কর্মীদেরও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:২০
পড়ে রয়েছে কেক। —নিজস্ব চিত্র।

পড়ে রয়েছে কেক। —নিজস্ব চিত্র।

বড়দিন এলেই প্রতি বার কালনার বহু যুবক অস্থায়ী দোকান তৈরি করে কেক বিক্রি শুরু করেন। নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না বেকারির কর্মীদেরও। কিন্তু নোট-বাতিলের পরে এ বার ক্রেতার জন্য হাপিত্যেশ করে থাকতে হচ্ছে বলে জানান বেকারি মালিকেরা। দেখা মিলছে না অস্থায়ী দোকানগুলিরও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, বড়দিন এলেই কালনার পূর্ণ সিনেমা হল, বৈদ্যপুর মোড়, পুরনো বাসস্ট্যান্ড চত্বরে কয়েক জন যুবক কেকের পসরা সাজিয়ে বসেন। অনেকে নামী সংস্থা থেকে দামী কেক কিনে আনেন। কিন্তু এ বার রক্তিম সরকার, সহদেব মালিকদের মতো কয়েক জন যুবক বলেন, ‘‘নগদে কেক কিনতে হয়। সাধারণ মানুষের হাতে নগদ কম থাকায় কেক বিক্রি হবে কি না ঠিক নেই। এ বার তাই আর দোকান দিইনি।’’ কার্ডে লেনদেনও কালনা শহরে এ যাবৎ তেমন জনপ্রিয় হয়নি বলে তাঁদের দাবি।

নোট-বাতিলের পরে বাজারে অনিশ্চয়তার রেশ পড়েছে কালনার প্রায় ১০টি বেকারিতেও। এই বেকারিগুলি থেকে প্রতি বছর স্থানীয় এলাকা ছাড়াও নদিয়া, রানাঘাট-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কেক সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এ বার হাতে নগদ না থাকায় কাঁচামাল কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন বেকারির মালিকেরা। এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার অর্ধেক কেক তৈরি করেছেন বলে জানান ‘বর্মন বেকারি’র মালিক খগেন বর্মন। ‘ভারত বেকারি’র মালিক রুস্তুম আলি শেখ জানান, বাজারের পরিস্থিতি ঠিক না হওয়ায় তাঁরা কেক তৈরিই করেননি। নোটের আকাল থাকায় বেকারির বহু কর্মীও বাড়ি চলে গিয়েছেন। ফলে শ্রমিক-সমস্যাও তৈরি হয়েছে বলে দাবি।

বাজারের হাল যে খারাপ, তা মালুম পড়ে শহরের ক্রেতাদের বক্তব্যেও। চম্পা ঘোষ নামে এক জন যেমন বলেন, ‘‘হাতের টাকা মেপে খরচ করতে হচ্ছে। তাই বড় কেক কেনা হয়নি।’’

demonetisation bakery Christmas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy