টাউন হলে চলছে সম্মেলন।—নিজস্ব চিত্র।
জেলার কলেজগুলির মধ্যে একটিতেও সংগঠন ক্ষমতায় নেই। পুজোর পর শুরু হবে বর্ধমানের বিভিন্ন কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এই অবস্থায় সংগঠনের সদস্যদের প্রতিরোধের বার্তা দিল এসএফআই। সোমবার বিকেলে, এসএফআই-এর ৩৪ তম জেলা সম্মেলন উদ্বোধনের পর টাউন হলের মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী মধুজা সেন রায়-সহ অন্যান্য বক্তারা জেলা জুড়ে বিভিন্ন কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসের অভিযোগ করেন।
বর্ধমানের ৩২টি কলেজের একটিতেও ছাত্র সংসদে ক্ষমতায় নেই এসএফআই। সংগঠনের সদস্যদের মনোবলও প্রায় তলানিতে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সংগঠনের নেতৃত্বরা জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে বা নির্বাচনের দিন তৃণমূলের সন্ত্রাসের মুখে পড়লে কী ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হবে তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে। সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রায় ৩০০ জন প্রতিনিধি যোগ দেবেন বলেও জানানো হয়েছে।
এ দিন টাউন হলের মাঠে সংগঠনের সদস্য, সমর্থকদের ভিড় দেখে মধুজা দাবি করেন, ‘‘আমরা কোনও কলেজে প্রকাশ্যে কাজ করতে পারছি না। শুধু সংসদে জয় লাভ নয়, সাধারণ পড়ুয়াদের মধ্যে থাকাটাই প্রধান লক্ষ্য।’’ তৃণমূলের মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনের নির্বাচনে খালি ময়দান ছেড়ে দেব না।” প্রতিরোধ কী ভাবে হবে? সংগঠনের বিদায়ী জেলা সভাপতি সুব্রত সিদ্ধান্ত, বিদায়ী জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে’রা ইটের বদলে পাটকেল ‘ছোড়ার লড়াই’ করতে বলেন দলীয় সদস্যদের। সংগঠনের প্রাক্তন সম্পাদক তথা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অমল হালদারও ছাত্র সংগঠনের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘এসআফআইয়ের পাশে থেকে সব রকম সাহায্য করতে হবে।”
যদিও প্রতিরোধের বার্তা শুনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রের অভিযোগ, “এ সব কথা বলা মানে কলেজে অশান্তির প্ররোচনা দেওয়া। সাধারণ পড়ুয়ারাই এর জবাব দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy