এ বার ভোট নেই কাটোয়ায়। মহকুমার পাঁচটি ব্লক মিলিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩৫টি, পঞ্চায়েত সমিতির ১৩৪টি এবং জেলা পরিষদের ১১টি আসনই বিরোধী-শূন্য। সব ক’টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে তৃণমূল।
ভোটের আগেই জয়ী শাসকদলের প্রার্থীরা পেলেন শংসাপত্র। বৃহস্পতিবার কাটোয়া মহকুমাশাসকের দফতরে জেলা পরিষদের জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হল। জেলা পরিষদে কাটোয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির ৪১ নম্বর সংসদের মাম্পি রুদ্র, ৪২ নম্বর সংসদের তনুশ্রী সাহা, কাটোয়া ২ ব্লকের ৪৩ নম্বর সংসদের মণ্ডল আজিজুল ও ৪৪ নম্বর সংসদে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তুষার সামন্ত শংসাপত্র গ্রহণ করেন মহকুমাশাসকের কাছে। কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লক থেকে জয়ী জেলা পরিষদের দুই প্রার্থী সোমবারই এসডিও অফিস থেকে শংসাপত্র তুলেছেন।
অন্য দিকে, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী শাসকদলের প্রার্থীরা শংসাপত্র পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিসগুলি থেকে। কাটোয়া ১ ব্লকে দু’টি পঞ্চায়েতের আসন বাদ দিয়ে বাকি সব ক’টি পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজয়ীরা এ দিন শংসাপত্র পেয়েছেন। অসুস্থতার জন্য ওই দুই প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
কাটোয়া ২ ব্লকেও এ দিন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সব আসনের জয়ী প্রার্থীরা শংসাপত্র নেন। তবে, কেতুগ্রাম ১ ও ২ ব্লক অফিসে এ দিন পর্যন্ত কোনও শংসাপত্র দেওয়া শুরু হয়নি। মঙ্গলকোট ব্লক অফিস থেকেও ৫টি আসন বাদ দিয়ে বাকি পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসনগুলিতে শংসাপত্র বিলি হয়ে গিয়েছে বলে জানান প্রশাসনের কর্তারা। শংসাপত্র নেওয়ার পরে সবুজ আবির নিয়ে বিজয় উল্লাস করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের।
যদিও এই জয়কে ‘গণতন্ত্রের পরাজয়’ হিসাবেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘বিরোধীদের মনোনয়ন তুলতেই দিল না তৃণমূল। তাই এটা কোনও জয় নয়।’’
বিরোধীদের এমন বক্তব্যের পরে তৃণমূল নেতাদের পাল্টা বক্তব্য, বিরোধী দলগুলি নিজেদের সাংগঠনিক ব্যর্থতার জন্য কোথাও প্রার্থী পায়নি। এখন মিথ্যা অভিযোগ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy