Advertisement
E-Paper

শিবির ভাঙায় ক্ষোভ, অবরোধ বিজেপি-র

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায়সরকার পুলিশকর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিধায়কের গায়ে হাত দিচ্ছেন! ভিতরে যারা রয়েছে তাদের কেন বের করে দিচ্ছেন না?’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০১:২৬
দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে গোলমাল। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে গোলমাল। নিজস্ব চিত্র

বিরোধীদের আটকাতে জমায়েত থেকে শিবির তছনছ করে দেওয়া, দুর্গাপুরে মনোনয়ন নিয়ে ফের নানা অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল কোনও গোলমাল পাকানোর কথা মানতে চায়নি।

দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে ছিল। দুর্গাপুর-ফরিদপুর ও অন্ডাল ব্লকে তৃণমূলের বাধায় মনোনয়ন দাখিল করা যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ বাম প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে পৌঁছন সিপিএম নেতারা। মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে ঢোকার ঠিক আগে ব্যারিকেড করে পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় ব্যারিকেড পেরোনোয় বলে পুলিশ তাঁকে একপ্রকার ঠেলে বের করে দেয় বলে অভিযোগ।

সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, আগে থেকে ব্যারিকেডের ভিতরে একটি ফলের দোকানে অনুগামীদের নিয়ে বসেছিলেন দুর্গাপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায়সরকার পুলিশকর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিধায়কের গায়ে হাত দিচ্ছেন! ভিতরে যারা রয়েছে তাদের কেন বের করে দিচ্ছেন না?’’ পুলিশ জমায়েত হওয়া সব পক্ষকেই বার করে দিতে থাকে। অরবিন্দবাবুর অবশ্য দাবি, তিনি ফলের রস খেতে দোকানে গিয়েছিলেন।

এরই মধ্যে মহকুমাশাসকের অফিসের অন্য দিকে ঢোকার পথ জুড়ে তখন রয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা। সামনে মহিলারা, বাকিরা সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। অভিযোগ, আদালত ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে যাওয়ার রাস্তা আটকে ওই মহিলা কর্মীরা আটকে দেন। মনোনয়ন ছাড়া কোনও কাজ হচ্ছে না বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষজনকে। হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিরে যেতে দেখা যায় অনেককে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই মহিলা কর্মীদের সরিয়ে দেয়।

মহকুমাশাসকের অফিসের উল্টো দিকে একটি দোকানের বারান্দায় মনোনয়নের ফর্ম পূরণ করছিলেন বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের প্রস্তাবকেরা। তৃণমূল আপত্তি তোলায় পুলিশ গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা রীতিমতো হুমকি দিয়ে এলাকাছাড়া করে। এর আগে সকালে বিজেপি-র অন্য একটি শিবিরও তৃণমূলের আপত্তিতে সরানো হয়।

দুপুরে বিজেপির শিবির ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের হাতে ছুরি মারা হয়। নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আসানসোলের তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির উস্কানিতে হামলা হয়েছে বলে বিজেপি নেতাদের দাবি।

জিতেন্দ্রবাবু অবশ্য কোনও উস্কানি বা হামলার কথা মানতে চাননি। নিষ্ক্রিয়তার কথা মানেনি পুলিশও। তাদের দাবি, মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরে কোনও জমায়েত হলেই তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

West Bengal Panchayat Elections 2018 Nomination TMC BJP Road Blockade
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy