ফাইল চিত্র।
হাসছেন ভাতারের তৃণমূল নেতা মানগোবিন্দ অধিকারী। হাসারই কথা। গতবার সাহেবগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। ১২টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার গণনার পর দেখা গেল, ১২টিই তৃণমূলের!
এই পঞ্চায়েতেরই ওরগ্রামে ভোটের দিন বিকেলে বোমা পড়েছিল। প্রতিবাদে স্থানীয় মানুষ ব্যালট পেপার ও বাক্স জলে ফেলে দেয়। বুধবার পুনর্নির্বাচনেও ওরগ্রামের আদিবাসীপাড়া প্রাথমিক স্কুলের ১৪১ ও ১৪২ নম্বর বুথ শাসকদলের ‘দখলে’ চলে গিয়েছিল বলে বিরোধীদের অভিযোগ। ওই দু’টি বুথের মধ্যে ১৪১ নম্বরে তৃণমূলের ভোট ৬৭১টি। সেখানে বিজেপির বাক্সে পড়েছে ৯৫টি। সিপিএম প্রার্থীই দিতে পারেনি। পাশের ১৪২ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৪৯৫টি। সিপিএম পেয়েছে ১২৯টি।
সিপিএমের দাবি, সাহেবগঞ্জ ২ তাদের বরাবরের শক্তঘাঁটি। ২০১৪-র লোকসভা ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিএম এখানে শাসক দলের চেয়ে এগিয়েছিল। সে কারণে ওই পঞ্চায়েতের দিকে নজর ছিল তৃণমূলের। সিপিএমের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ শুরু হয়ে যায়। ওরগ্রামের সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে হামলা হয়। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকেও মারধর করা হয়। ভোটের দিন গ্রামডিহি, শিলাকোট, মান্দারবাটি-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে বহিরাগতেরা গিয়ে বুথ ‘দখল’ করে ছাপ্পা মারে বলে অভিযোগ। বিকেলের দিকে ওই বহিরাগতেরা ওরগ্রামে গেলে প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ওরগ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের দাবি, “দ্বিতীয় বুথে বিরোধীদের কেউ ছিল না। শাসকদলের সামনেই ভোট দিতে হয়েছে।” শিলাকোটের এক নতুন ভোটারের কথায়, “ভোট দিতে যাওয়ার সময় খবর এল ভোট পড়ে গিয়েছে। ভয়ে আর বুথমুখো হইনি।”
সিপিএম নেতা নজরুল হকের অভিযোগ, “সন্ত্রাস আর টাকা ছড়িয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। যেখানে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি, সেখানে ভোট লুট করা হয়েছে। বোমা-পিস্তলের সামনে সব জায়গায় প্রতিরোধ করা যায়নি।” আমারুণ স্টেশন সংলগ্ন স্কুলের গণনাকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে মানগোবিন্দবাবু বললেন, “এটা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের জয়। বিরোধীদের অপপ্রচারকে মুখের উপর জবাব দিয়েছেন ওরগ্রামের মানুষ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy