পূর্বস্থলীর জালুইডাঙায় ভাঙছে নদীর পাড়। নিজস্ব চিত্র
বৃষ্টি শুরু হতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের সমুদ্রগড় পঞ্চায়েতের জালুইডাঙা গ্রামে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে গতিতে ভাগীরথীর পাড় ভাঙছে, নদীগর্ভে চলে যেতে পারে লাগোয়া রেললাইন। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে সেক্ষেত্রে। বিষয়টি সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে জানানো হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের।
জালুইডাঙার পাশ দিয়ে গিয়েছে ব্যান্ডেল-কাটোয়া রেললাইন। বাসিন্দাদের দাবি, এক সময়ে রেললাইন থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে ছিল নদী। গত দু’দশকে নদীর পাড় যত ভেঙেছে তত কাছাকাছি এসেছে রেললাইন। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে গ্রামের কৃষি জমি, রাস্তা, নলকূপ। এক সময় গ্রামে বারোশো মানুষের বাস থাকলেও ভিটে মাটি হারিয়ে বেশির ভাগ চলে গিয়েছেন অন্যত্র। এখনও কুড়িটি পরিবার রয়েছেন ওই গ্রামে।
তাঁদের দাবি, জল বেড়েছে নদীতে। ধসেছে পাড়ের বেশ কিছু অংশ। নদীর পাড় থেকে রেললাইনের দূরত্ব কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও তারও কম, দাবি তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা পার্বতী রাজবংশী বলেন, ‘‘ভাঙন রুখতে বিভিন্ন সময়ে বাঁশের খাঁচা, পাথর ফেলা হয়েছে। তাতে তেমন কাজ হয় নি। এ বার যে ভাবে ভাঙতে শুরু করেছে তাতে যে কয়েক ঘর থাকি, সবাইকেই উঠে যেতে হবে।’’ আর এক বাসিন্দা রামকৃষ্ণ দাসের দাবি, ‘‘টানা বৃষ্টিতে নদীর জল অনেকটাই বেড়েছে। রেললাইন ক’দিন আস্ত থাকবে, সেটাই চিন্তার।’’ সমুদ্রগড় স্টেশনের রেলের এক আধিকারিকও বলেন, ‘‘বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।’’ জালুইডাঙার পাশাপাশি কালনা ১ ব্লকে কাবাডি গ্রাম হিসাবে পরিচিত কালীনগর গ্রামেও ভাঙন দেখা দিয়েছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘রেললাইনের খুব কাছে এসে গিয়েছে নদী। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সে বিষয়টি জানানো হয়েছে সেচমন্ত্রীকে।’’ রেলকেও তৎপর হতে হবে, দাবি তাঁর। কালনার মহকুমাশাসক সুমন সৌরভ মোহান্তি বলেন, ‘‘বিষয়টি সেচ দফতর এবং রেলের নজরে আনা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy