জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলায় পুলিশ ও সিভিক ভলেন্টিয়ার্স মিলে সাত হাজার কর্মী রাস্তায় থাকবেন। জেলার ২৬টি জায়গায় নাকা করছে পুলিশ। অতিরিক্ত ১২টি গাড়ির মাধ্যমে বিশেষ নজরবন্দির ব্যবস্থা থাকছে জেলা জুড়ে। এ ছাড়াও ভাগীরথী ও দামোদরের ধারে নৌকার উপরেও নজরদারির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
বর্ধমান থানা সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেলা পুলিশের নির্দেশিকা ছাড়াও শহরের জন্য বেশ কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শহরের ৮টি জায়গাতে যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। পঞ্চমী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া জিটি রোডে মোটরবাইক ছাড়া বাকি গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বর্ধমান শহরে ১৩টি জায়গায় পুলিশ-সহায়তা বুথ খোলা হচ্ছে। জেলা পুলিশের উদ্যোগে বর্ধমান থানার জন্য শিশুদের পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের কর্তারা অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেছে, শিশুর পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে গলায় ঝুলিয়ে দিন। যাতে কোনও কারণে ছেলেমেয়ে হাতছাড়া হয়ে গেলে শিশুটির পরিচয়পত্রে থাকা নাম, অভিভাবকের নাম ও ফোন নম্বর দেখে সহৃদয় ব্যক্তিরা খোঁজ দিতে পারবেন। এ ছাড়াও জেলা প্রেস ক্লাবের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পুজোর ক’দিন এবং মহরমের সন্ধ্যায় শহরে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করেছে জেলা পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসারও ব্যবস্থাও পুলিশ করবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রাস্তাতে শুধু নয়, বাড়িতে কেউ অসুস্থ হয়েছে, অথচ ভিড়ের জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে পারছে না, এমন খবর এলেও তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, “বড় বড় পুজোয় সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়াও পুর এলাকায় রয়েছে সিসি ক্যামেরা। মনিটরের সামনে নজর রাখছেন আমাদের কর্মীরা। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”