গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পুর আইন অনুযায়ী মেয়রের শপথের এক মাসের মধ্যে বোর্ড গঠন করার নিয়ম হলেও তা মানা হল না আসানসোল পুরসভায়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। কিন্তু দু’মাস পূর্ণ হলেও মেয়র পরিষদ, বরো চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়নি। হয়নি দফতর বণ্টন। জোড়া ডেপুটি মেয়র ঘোষণা হলেও পুরবিধি সংশোধন করে তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। ফলে পুরসভার কাজে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি, কংগ্রেসের কাউন্সিলর গোলাম সরোয়ারের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের এই শ্লথতার কারণে সাধারণ মানুষ নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাজ্যপাল এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও লিখেছেন চৈতালি।
এই অভিযোগের বিষয়ে আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘এক মাসের জন্য এক্সটেনশন (বাড়তি সময়সীমা) চাওয়া হয়েছিল রাজ্য পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের কাছে। লোকসভা উপনির্বাচন হঠাৎ করে চলে আসায় এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে টেম্পোরারি বাজেট পেশ করা হয়েছিল ২৯ মার্চ। পরে বোর্ড গঠন হলে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হবে। সব কিছু নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষও নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না। দু’এক দিনের মধ্যেই বোর্ড গঠন হয়ে যাবে। বাড়িতে বসে নাগরিক পরিষেবা দেখা যায় না।’’
এ বিষয়ে চৈতালি জানান, সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে আসানসোল পুরসভায়। তিনি বলেন, ‘‘যেমন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে হেরে গিয়ে ৬ মাসের মধ্যে অন্য একটি জায়গায় জয়লাভ করে এলেন। এটাই হচ্ছে সংবিধান। ছ মাস পরে ভোট হলে হবে না, ছয় মাসের মধ্যেই ভোট করতে হবে। ঠিক সে রকমই মেয়রকে এক মাসের মধ্যেই বোর্ড গঠন করতে হবে। রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে সেটা বেড়ে দু’মাস হতে পারে। তার পরে যদি বোর্ড গঠন করা হয়, তবে তা সংবিধান বিরুদ্ধ কাজ।’’
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে দাবি করেছেন চৈতালি। পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy