Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
BJP

BJP Councilor: চাল নিতে গিয়ে ‘বাধা’র মুখে বিজেপি কাউন্সিলর

দুর্গাপুর পুরসভার বরো কার্যালয়গুলি থেকে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরেরা চাল নিয়ে গিয়ে তা ওয়ার্ডে বিলি করছেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ০৭:৪৮
Share: Save:

কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রাণের চাল বিলি করা হচ্ছে। নিজের ওয়ার্ডের জন্য সে চাল নিতে গিয়ে ‘বাধা’র মুখে পড়ার কথা জানালেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে বচসা তৈরি হয় তৃণমূল-বিজেপির। সোমবার দুর্গাপুরের ৪ নম্বর বরো কার্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটে। কোকআভেন থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামলায়। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে বলে জানান তৃণমূলের জেলা সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায়। বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘তৃণমূল সব কিছুই অগণতান্ত্রিক ভাবে করে। এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’’

দুর্গাপুর পুরসভার বরো কার্যালয়গুলি থেকে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরেরা চাল নিয়ে গিয়ে তা ওয়ার্ডে বিলি করছেন। এ দিন বাকি ওয়ার্ডগুলির কাউন্সিলরেরা সে ভাবেই ৪ নম্বর বরো কার্যালয় থেকে চাল তোলেন। কিন্তু ‘সমস্যা’ হয় ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপিতে যোগ দেওয়া কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। তিনি চাল নিতে যেতেই ওই ওয়ার্ডের পরিচিত তৃণমূল কর্মী গুড্ডু খানের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন বলেন, ‘‘চাল আমরা বিলি করব। কারণ ওই কাউন্সিলর চাল বিলিতে অনিয়ম করবেন। তা হতে দেওয়া যাবে না।’’ তবে চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, ‘‘আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কোন দল করি, সেটা বিবেচ্য নয়। অথচ, এখানে এলাকাবাসীর জন্য চাল নিয়ে যেতে এসে বাধার মুখে পড়ছি।’’

এই চাপান-উতোরের মধ্যে চাল দেওয়া বন্ধ করে দেন বরো কার্যালয়ে উপস্থিত পুর-আধিকারিক মনোতোষ কর্মকার। বরো কার্যালয়ের বাইরে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে চালবোঝাই সরকারি গাড়ি। শেষ পর্যন্ত ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য বরাদ্দ চাল বরো কার্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে ফিরে যায় সরকারি গাড়ি। মনোতোষবাবু বলেন, ‘‘বাকি সব ওয়ার্ডের চাল বিলি হয়ে গিয়েছে। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেওয়ায় আমি বরো চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’

বরো চেয়ারম্যান সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই চন্দ্রশেখরবাবুকে চাল দেওয়া যাবে না। তা হলে প্রকৃত দুঃস্থেরা আর চাল পাবেন না। উনি সই করুন। আমাদের কর্মীরা চাল বিলি করবেন ওখানে।’’ কিন্তু সরকারের চাল কী ভাবে তৃণমূলকর্মীরা বিলি করবেন? সুনীলবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিজেপিতে যাওয়ার পরে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনেক গালমন্দ করেছিলেন উনি। সব মনে আছে আমাদের। বিজেপি কাউন্সিলরের দুঃস্থদের চাল বিলি করার সদিচ্ছা থাকলে, দলের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করুন। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া চাল তাঁকে বিলি করতে হবে না।’’ তবে চন্দ্রশেখরবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওয়ার্ড কমিটির হাতে দুঃস্থ মানুষের তালিকা রয়েছে। এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ মানব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP councilor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE