Advertisement
E-Paper

নজরে ১০৬টি ওয়ার্ড, প্রচারে বিজেপি

শনিবার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বুথ স্তরের যুবকর্মীদের নিয়ে আসানসোলে বিজেপি বিশেষ সম্মেলন করে। সেখানে যোগ দেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই-সহ আরও অনেকে।

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০৬
বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র

বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র

১০৬টি ওয়ার্ড নিয়ে আসানসোল পুরসভা এলাকা। আগামী লোকসভা ভোটে নিজেদের ‘জেতা’ কেন্দ্র ধরে রাখতে এই পুরসভা এলাকাকেই পাখির চোখ করা হচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। সে দিকে নজর রেখেই ভোটের আগে পর্যন্ত এই ওয়ার্ডগুলিতে নিয়মিত সভা, মিছিল করবেন যুবকর্মীরা, খবর বিজেপি সূত্রে।

শনিবার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে বুথ স্তরের যুবকর্মীদের নিয়ে আসানসোলে বিজেপি বিশেষ সম্মেলন করে। সেখানে যোগ দেন আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই-সহ আরও অনেকে। লক্ষ্মণবাবুর কথায়, ‘‘আসন্ন লোকসভা ভোটে যুবকর্মীরা কী ভাবে, কী বিষয়ে এলাকায় গিয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে দলের কথা বলবেন, তাইই মূলত আলোচনা হয়েছে এ দিন।’’ সেই ‘কথা’র সিংহভাগ জুড়েই থাকবে দলীয় প্রার্থীর কাজ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নানা জনমুখী প্রকল্পের বিষয়। সভার শেষে বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডেই বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে নিয়মিত সভা ও মিছিল করা হবে।

পুরসভা এলাকার দিকে বিশেষ নজর কেন, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে এলাকার রাজনীতিতে। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে আসানসোল কেন্দ্রের অন্তর্গত রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ, কুলটি, এই পাঁচ এলাকার মধ্যে একমাত্র জামুড়িয়া ছাড়া সব ক’টিতেই ভোটপ্রাপ্তির দিক থেকে অনেকটাই এগিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী বাবুল। কিন্তু তৃণমূল, সিপিএমের অভিযোগ, পরবর্তী পাঁচ বছরে, এই সব ক’টি এলাকার মধ্যে থাকা কেন্দ্রীয় শিল্পক্ষেত্রের পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, হিন্দুস্তান কেব্‌লস। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি খনি বন্ধের কথাও জানিয়েছে ‘কোল ইন্ডিয়া’। ফলে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের শিল্পনীতির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল, সিপিএমের।

যদিও বিজেপির এক জেলা নেতার ব্যাখ্যা, গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে যুবকর্মীদের বড়ই অভাব ছিল। তার পরেও আসানসোল আসনটি জেতে বিজেপি। কিন্তু গত পাঁচ বছরে দলের পক্ষে পরিস্থিতি ‘অনুকূল’। দলে নাম লিখিয়েছেন স্থানীয় যুবকদের একাংশ। কিন্তু তাঁদের অনেকেরই নির্বাচনী কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই। তাই এই এলাকাগুলিতে ভোট প্রচারে জোর দেওয়ার পাশাপাশি, ওই যুবকদের নির্বাচনী রাজনীতিতে সড়গড় করানোটাও অন্যতম উদ্দেশ্য।

সম্মেলন শুরুর নির্ধারিত সময় সকাল ১১টার প্রায় এক ঘণ্টা পরে এসে পৌঁছন বাবুল। তাঁর উপস্থিতিতে পাণ্ডবেশ্বরের কুড়ি জন কর্মী দলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বাবুল বলেন, ‘‘সাংসদ ও মন্ত্রী হিসেবে এটাই দলের কর্মীদের কাছে আমার শেষ সভা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সপরিবার আসানসোলে এসে ঘাগরবুড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে ফের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নামব।’’

তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন অবশ্য বলেন, ‘‘ওঁরা প্রচার করুন, আর যাই করুন, মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটের ফলেই দেখা যাবে, আসানসোলের মানুষ তাঁদের পরিত্যাগ করেছেন।’’

Asansol Municipality Babul Supriyo BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy