এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহের সময়সীমা শেষের দিকে। ব্যস্ততা বাড়ছে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের। সেই ‘চাপে’ একের পর এক বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ। রবিবার এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করতে গিয়ে একই অবস্থা হল বর্ধমান জেলার কাটোয়া বিধানসভা এলাকার এক বিএলওর। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিএলওর স্ত্রী জানিয়েছেন, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) কাজ নিয়ে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় ছিলেন স্বামী। সেখান থেকেই এই অসুস্থতা।
কাটোয়া বিধানসভার ১৪৭ নম্বর বুথের বিএলও শুকদেব দাস রবিবার সকাল সকাল বেরিয়েছিলেন এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহে। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। মাথা ঘুরছিল শুকদেবের। বুকে অস্বস্তি অনুভব করায় বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকেলে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শুকদেব তীব্র মানসিক চাপে আতঙ্কে অসুস্থতার (প্যানিক অ্যাটাক) শিকার। তিনি বলেন, “রোগী এখন স্থিতিশীল। তবে সতর্কতার জন্য আগামী দু’-এক দিন তাঁকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।’’
পরিবারের দাবি, গত কয়েক দিন ধরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা কাজ করছেন তিনি। এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেগুলো বিএলও পোর্টালে এন্ট্রির কাজ করছিলেন শুকদেব। এসআইআরের কাজ নিয়ে মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। বিএলওর স্ত্রী ইশা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দীর্ঘ ক্ষণ ধরে পরিশ্রম আর চরম মানসিক চাপে উনি শারীরিক ভাবেও ভেঙে পড়ছেন। খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। ওঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা চিন্তিত।’’
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজ্যের ৯৯.৭৪ শতাংশ ভোটারের কাছে এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে মোট ভোটার ৭.৬৬ কোটি। ইতিমধ্যে ৭ কোটি ৬৪ লক্ষ মানুষ এনুমারেশন ফর্ম হাতে পেয়ে গিয়েছেন। এবং ৪১.২ শতাংশ ফর্মের ডিজিটাইজ়েশনও সমাপ্ত।