বিএলওদের কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম কেড়ে নিয়ে বিএলও অ্যাপে অবৈধ ভাবে লগ ইন করছেন কিছু মানুষ! এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কমিশন। যদিও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ওই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।
কমিশনের কাছে বিজেপির জিতেনের অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে এসআইআরের কাজে ‘গুরুতর এবং ইচ্ছাকৃত অপরাধ’ হচ্ছে। কমিশনকে চিঠি লিখে জানান, পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত তথা পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অনিয়ম হচ্ছে। জিতেন লেখেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে সংগ্রহ করা সমস্ত এনুমারেশন ফর্ম সংশ্লিষ্ট বিএলওকে নির্দিষ্ট বিএলও অ্যাপ লগ ইনের মাধ্যমে আপডেট করতে হবে। আর ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) সিস্টেমটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে শুধুমাত্র বিএলও-ই পোর্টালে প্রবেশ করতে পারেন।’’
কিন্তু পাণ্ডবেশ্বরের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, সেখানে ভোটার তথ্যের নিরাপত্তা থেকে গোপনীয়তা কিছুই রক্ষা করা হচ্ছে না। কারণ, বিএলওদের কাছ থেকে ‘এসআইআর ফর্ম কেড়ে নেওয়া হচ্ছে’! কারা কেড়ে নিচ্ছেন, সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি বিজেপি নেতা। তবে তিনি জানান, ওই ব্যক্তিরা বিএওলও-র কাছ থেকে ফর্ম নিয়ে নিজেরাই বিএলও পোর্টালে ঢুকে তথ্য সংযোজন করছেন, যা অনৈতিক। বিজেপি নেতার আরও দাবি, এর প্রভাব ভোটার তালিকায় পড়বেই। এ নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত কমিশনের।
আরও পড়ুন:
জিতেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নাম্লম এস। তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ অন্য দিকে, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ বিজেপির জিতেনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত বৈধ ভোটারের অধিকার যাতে রক্ষিত হয়, সে জন্য আন্দোলন করছি আমরা। এখন কেউ যদি এসআইআর ফর্ম পূরণ করতে আমার সাহায্য চান, মানুষ হিসাবে সেটা তো করবই! কিন্তু এনুমারেশন ফর্ম কেড়ে নেওয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার এলাকায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’