Advertisement
E-Paper

Death: পার্ক থেকে উদ্ধার দেহ, নালিশ খুনের

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে নেতাজি সুভাষ রোডের ধারে বসুন্ধরা পার্কের তারজালির রেলিংয়ের পাশে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীর একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫২
ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ। দুর্গাপুরের বসুন্ধরা পার্কে।

ঘটনাস্থলে তদন্তে পুলিশ। দুর্গাপুরের বসুন্ধরা পার্কে। নিজস্ব চিত্র।

একটি পার্ক থেকে উদ্ধার হল শোভা দাস (৪০) নামে বেনাচিতির নতুনপল্লির বাসিন্দা এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ। বুধবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপ লাগোয়া এলাকার ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ, শোভাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পূর্ব) ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে নেতাজি সুভাষ রোডের ধারে বসুন্ধরা পার্কের তারজালির রেলিংয়ের পাশে দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসীর একাংশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের মতে, শোভার মুখ থেঁতলানো ছিল। হাতে, পায়ে, মুখে ছিল রক্তের দাগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মহিলার হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে ভারী কিছু দিয়ে মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। পাশে পড়েছিল একটি চাদর। এলাকাবাসীর থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।

ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্কে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন। রাতে পার্কে কেউ যান না। স্থানীয় বাসিন্দা জয় সূত্রধর বলেন, “সকালে খবর পেয়ে পার্কে আসি। আমাদের মনে হয়, ওই মহিলাকে খুন করে এখানে ফেলে রেখে দেওয়া হয়।” পার্কের রক্ষী, কমলপুরের বাসিন্দা সূর্য ঘোষ বলেন, “সকালে কাজে এসে বিষয়টি জানতে পারি।এমন ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।” এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, পুলিশের টহলদারি আরও বাড়াতে হবে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে তাদের টহলদার গাড়ি এলাকায় ঘোরে।

এ দিকে, ‘নিহতে’র ভাই মিঠুন দাস জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ভাগ্নির কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, তাঁর দিদি দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ চাদর মুড়ি দিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন। সঙ্গে মোবাইল
ছিল। তিনি বলেন, “দিদি না ফেরায় ফোন করে দেখি, মোবাইল বন্ধ। সকালে দেহ উদ্ধারের খবর পাই। দিদিকে যে বা যারা খুন করেছে, তাদের শাস্তি চাই। দিদির গায়ে থাকা সোনার গয়না উধাও।” শোভার ছেলে, একটি বেসরকারি কারখানার কর্মী সন্দীপ জানান, রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও লাভ হয়নি। তার পরে, এ দিন বন্ধুদের থেকে এবং পুলিশের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে দেহ শনাক্ত করেন।

পাশাপাশি, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে শোভার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সে জন্য নানা ভাবে, ধার করে টাকার জোগাড় করেছিলেন শোভা। তিনি নিজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সে সূত্রে গোষ্ঠীর সদস্যদের জন্য ব্যাঙ্ক ঋণ তোলা-সহ অন্য আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তা নিয়ে কারও সঙ্গে শোভার বিবাদ ঘটেছিল কি না, সে দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy