Advertisement
E-Paper

ভাতার, কালনায় মিলল বোমা

পঞ্চায়েত ভোটের আগেও বোমা মিলেছিল। আবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগেও বোমা উদ্ধার হল ভাতারের রাজিপুর থেকে। কালনার নান্দাই এলাকা থেকেও উদ্ধার হয়েছে বোমাভর্তি ব্যাগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০৫:২৯
কালনার নান্দাই এলাকায় চলছে বোমা উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র

কালনার নান্দাই এলাকায় চলছে বোমা উদ্ধার। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোটের আগেও বোমা মিলেছিল। আবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগেও বোমা উদ্ধার হল ভাতারের রাজিপুর থেকে। কালনার নান্দাই এলাকা থেকেও উদ্ধার হয়েছে বোমাভর্তি ব্যাগ।

রবিবার গভীর রাতে রাজিপুর গ্রামের সেচখালের ধারে হানা দেয় পুলিশ। ঝোপঝাড়ের ভিতর একটি ও তালগাছের কাছ থেকে দুটি প্লাস্টিকের পাত্র উদ্ধার হয়। তার মধ্যে মোটর ৭৫টি বোমা ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, “রাতভর বোমা-ভর্তি পাত্রগুলিকে পাহাড়া দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। দুপুরে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড গিয়ে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রীয় করে।’’ বোমাগুলি কে বা কারা কী জন্য রেখেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রায়নার জ্যোৎসাদি গ্রামেও পুলিশ তৃণমূলের এক নেতার বাড়ি থেকে ৬০টি সকেট বোমা পেয়েছিল।

ভাতার থানা সূত্রে জানা যায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই গ্রাম থেকে ৫১টি বোমা মিলেছিল। বারবার এমন ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই বোমা মজুত করা হচ্ছে গ্রামে। প্রায় দিনই সেচখাল, বাঁশঝাড়ে দু’একটা বোমা পড়ে থাকে বলে তাঁদের দাবি। মেলে বোমা ফাটার আওয়াজও। নিত্যা অশান্তি ও পুলিশের টহলদারির জন্য গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে বলেও তাঁদের দাবি।

ভাতারের যে কটি জায়গায় ‘নির্দল’ ছিল, তার মধ্যে অন্যতম রাজিপুর। এখানে জোলেখা বেগম তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন, আর তাঁর বড় দেওর নূরউদ্দিন মল্লিক ফুটবল চিহ্ন নিয়ে নির্দল প্রার্থী হন। ভোট পর্ব মেটার পরেও পারিবারিক মনোমালিন্য দূর হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, এই গ্রামেই বছর দু’য়েক আগে জমি-সংক্রান্ত বিবাদে খুন হন বিল্লাল শেখ। তারপর থেকে গ্রাম কখনই শান্ত ছিল না। পুলিশের এক কর্তার কথায়, “বছরের পর বছর ধরে ওই গ্রামে দুই গোষ্ঠী রয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে ওই গোষ্ঠী কখন কোন দিকে যায় তা ঠাওর করা মুশকিল।’’ তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, বামুনাড়া পঞ্চায়েতে এক মহিলাকে প্রধান করা হবে বলে ঠিক করেছে এক গোষ্ঠী। অন্যরা জনজাতিভুক্ত এক জনের নাম বেছে রেখেছে। তা নিয়েই গোলমাল। ভাতারের তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর নেতা মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, “ওই গ্রামে আমার কোনও লোক নেই।’’ আর এক গোষ্ঠীর নেতা প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরার দাবি, “দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিক। রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’’ সিপিএমের নেতা নজরুল হকের স্পষ্ট দাবি, “তৃণমূলের প্রধান নির্বাচনকে ঘিরেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল।’’

নান্দাইয়ের আসাননগর এলাকা থেকেও এ দিন ১০টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের অর্জুন দেবনাথের বাড়ির সামনে সাদা রঙের ব্যাগে বোমাগুলি ছিল। পুলিশ তা উদ্ধার করে জলে ডুবিয়ে দেয়। আজ, মঙ্গলবার বম্ব স্কোয়াড তা নিষ্ক্রীয় করবে বলেও জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের প্রধান বাছা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে এলাকায়। বোর্ড গঠনে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতেই এলাকা অশান্ত রাখা হচ্ছে বলেও তৃণমূলের একাংশের দাবি। যদিও নেতারা তা মানেননি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।

Bomb Kalna Bhatar
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy