বৃদ্ধ দম্পতিকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হল ছেলে। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে দম্পতির দেহ উদ্ধার হওয়ার সময় থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। বৃহস্পতিবার তাঁকে বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম হুমায়ুন কবীর ওরফে আশিক।
মেমারি শহরের কাশিয়াড়া কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুস্তাফিজুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী মমতাজ পারভিন খুন হন। বাড়ির সামনে তাঁদের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এর পর থেকেই নিহত দম্পতির ছেলে হুমায়ুন খোঁজে নামে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতেই হুমায়ুনকে গ্রেফতার করেছিল বনগাঁ থানার পুলিশ। পরে তাঁকে মেমারি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানতে পেরেছে, হুমায়ুন বর্ধমানের সিএমএস হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি-টেক পাশ করেন। এর পর ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে চাকরি পান একটি বেসরকারি সংস্থায়। পরে সেই চাকরি ছেড়ে দিল্লিতে যান। সেখান আরও একটি চাকরি পান। বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল হুমায়ুনের। কয়েক দিনের মধ্যেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর কয়েক মাস আগে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন হুমায়ুন। খবর পেয়ে মা-বাবাই ছেলেকে হিমাচল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। তার পর থেকে মেমারির বা়ড়িতেই থাকতেন যুবক।
হুমায়ুনের পিসেমশাই চৌধুরী রফিকুল আলম জানান, বাড়িতে টাকাপয়সা দিতেন না হুমায়ুন। কারও সঙ্গে মিশতেন না। দিনে ঘুমোতেন। রাতে ল্যাপটপে কাজ করতেন। যদিও কেন মা-বাবাকে খুন, জানেন না তিনি। হতম্ভব পরিবার-পড়শিরাও। তাঁরা এর কারণ বুঝতে পারছেন না।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ছেলেই বাবা-মাকে খুন করেছে। তবে তার কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। ওকে আমাদের হেফাজতে নিতে পারলে তদন্তের গতি বাড়বে।’’