রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল ৯ বছরের ছেলেটি। আচমকা দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় আসর আলি খান নামে তৃতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র। এরপরেই ক্ষতিপরণের দাবিতে ওই গাড়িটির চালক-সহ তিন জনকে ঘণ্টা তিনেক আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। পরে কাটোয়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ কাটোয়ার রামদাসপুর বাসস্টপের কাছে এসটিকেকে রোডের উপর প্রচন্ড গতিতে আসছিল কাটোয়ামুখী ওই ছোট যাত্রীবাহী গাড়িটি। আচমকা রাস্তার পাশে দাঁড়ানো বালকটিকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়িটি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চালক-সহ তিন জন রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহ রাস্তার উপর ফেলে রেখে ওই বাড়িটি ঘিরে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে থাকে। পুলিশ গিয়েও মৃতদেহ তুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আটক যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হন। গ্রামবাসীরা তখন ঘটনাস্থলেই ক্ষতিপূরণের দাবি করতে শুরু করেন। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় গ্রামবাসীদে। পুলিশ অবশ্য গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে প্রথমে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তারপর ওই তিন জনকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাটোয়া থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন জম মুর্শিদাবাদের সুতি থানার ছড়িগাটি গ্রামের একটি বিড়ি কারখানার কর্মী। এ দিন কলকাতা থেকে পাওনা টাকা নিয়ে তাঁরা মুর্শিদাবাদ যাচ্ছিলেন। পুলিশকে তাঁরা জানিয়েছেন, অন্য সময় বর্ধমান থেকে বাদশাহী রোড ধরে যাতায়াত করেন। বাদশাহী রোড জলমগ্ন হয়ে যাওয়ার জন্য কাটোয়া হয়ে তাঁরা সুতি ফিরছিলেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy