কাটোয়া-বোলপুর রাস্তায় চলছে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
প্রতিমা বিসর্জনের সময় বচসা বেধেছিল দু’দলের মধ্যে। পরে এক পক্ষ গ্রামের মহিলাদের হুমকি, পুরুষদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। এর জেরেই কাটোয়া-বোলপুর রাস্তায় রাজুয়া গ্রামের ফুলবাগানে পথ অবরোধ করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। অবরোধের জেরে ঘন্টাদুয়েক যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজুয়া প্রধান পাড়া দুর্গোৎসব কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় বেরিয়েছিলেন গ্রামের ৪৫ ঘর বাসিন্দা। অভিযোগ, শোভাযাত্রায় মহিলাদের উদ্দেশ্যে কটুক্তি করে কিছু যুবক। স্থানীয়রা ঘটনার প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষের বচসা বাধে। স্থানীয় কাঞ্চন প্রধান, জয়দেব প্রধান, রতন প্রধান, সন্তোষ প্রধানদের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের প্রাণনাশের ও মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে আনার হুমকি দেওয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় প্রতিমা বিসর্জনও। পরের দিন, বুধবার সকালে চিঁড়েমিল পাড়ায় দুই পক্ষের সালিশি সভা বসে। সভায় ওই দুষ্কৃতীরা ক্ষমা চেয়ে নেয় বলেও দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরে কানাপুকুরে প্রতিমা বিসর্জনও দেন তাঁরা। অভিযোগ, রাত হতেই ফের ওই যুবকেরা হুমকি, মারধর শুরু করে। বুধবার রাতে ফের স্থানীয় জয়দেব প্রধান ও ঝন্টু প্রধানকে ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে চিঁড়েমিল পাড়ায় মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ফুলবাগান মোড়ে অবরোধ করেন রাজুয়া গ্রামের প্রায় শ’পাঁচেক বাসিন্দা। ঘন্টাদুয়েকের জন্য বন্ধ হয়ে পড়ে বহরমপুর, বোলপু্র, সিউড়ি, সালার, পাঁচথুপিগামী বাস। পরে পুলিশ গেলে বিক্ষোভ তুলে নেন বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের মধ্যে তুফানী প্রধান, সীমা প্রধান, ঝর্ণা প্রধানদের অভিযোগ, প্রতি বছর পুজোর পরেই এরকম অশান্তি বাধায় এলাকার কিছু দুষ্কৃতীরা। বেশি সংখ্যক সিভিক পুলিশের দাবিও করেন তাঁরা। তবে বিকেল পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy