Advertisement
০৬ মে ২০২৪

মুহূর্তে বিল, স্মার্ট বিদ্যুৎ দফতর

বাড়িতে মিটার দেখে আসার পর তিন মাসের বিদ্যুতের বিল পৌঁছতো গ্রাহকদের কাছে। বিদ্যুতের বিল নিয়ে গ্রাহকদের আকছার অভিযোগের পাশাপাশি দফতরের লোকসানের বহর বেড়েই চলত।

মুহূর্তে: নেওয়া হচ্ছে মিটার রিডিং। নিজস্ব চিত্র

মুহূর্তে: নেওয়া হচ্ছে মিটার রিডিং। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০০:২৭
Share: Save:

বাড়িতে মিটার দেখে আসার পর তিন মাসের বিদ্যুতের বিল পৌঁছতো গ্রাহকদের কাছে। বিদ্যুতের বিল নিয়ে গ্রাহকদের আকছার অভিযোগের পাশাপাশি দফতরের লোকসানের বহর বেড়েই চলত। এর দাওয়াই হিসেবে এ বার ‘মোবাইল অ্যাপসে’র সাহায্য নিল বিদ্যুৎ দফতর। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে মিটার পড়ে নিখুঁত হিসেব করা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিদ্যুৎ-কর্তারা। রাজারহাট, নিউটাউনের পাশাপাশি বর্ধমানের গ্রামস্তরেও অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে ‘স্পট বিলিং’ শুরু হয়েছে।

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, মিটার-রিডারদের কাছে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ‘স্পট বিলিং’ অ্যাপস রয়েছে। তাঁরা মিটার-রিডিংয়ের ছবি তুলবেন। অস্পষ্ট বা আবছা ছবি হলে অ্যাপস তা নেবে না। ওই ছবি তোলার পর মিটারের নিজস্ব নম্বর দিতে হবে। তারপর ফের মিটার রিডিংয়ের সামনে ক্যামেরা তাক করলেই ফোনে বিল চলে আসবে। মিটার-রিডারদের কাছে থাকা ছোট যন্ত্রে ব্লু-টুথ পদ্ধতিতে বিল চলে যেতেই প্রিন্ট হয়ে যাবে। ওই ছবি সংস্থার স্টেশন ম্যানেজারের দফতরে থাকা তথ্য ভান্ডারে মজুত থাকবে। তবে ওই ফোনে শুধু মাত্র মিটার রিডিং করার কাজেই ব্যবহার করা যাবে। আর পাঁচটা ফোনের মতো কথা বলা বা মেসেজ করতে পারবেন না রিডাররা। ওই সব অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) সুবিধা থাকায় দ্রাঘিমা-অক্ষাংশের তথ্যও মিলবে।

বর্ধমানের এক স্টেশন ম্যানেজার তমালকৃষ্ণ পালিত বলেন, “কম্পিউটারে ছবি ঢোকানোর পর আমরা প্রতিদিন পরীক্ষা করে দেখি। কোনও গোলমাল ধরা পড়লে তখনই তা সংশোধন করে নেওয়া হয়।” জিপিএস সুবিধা থাকায় কোন কর্মী, কবে কোথায়, কখন, কার মিটারের ছবি নিচ্ছেন— সব তথ্যই বিদ্যুৎকর্তাদের হাতের মুঠোয় থেকে যাচ্ছে। জেলার অন্যতম বিভাগীয় বাস্তুকার গৌতম দত্তের কথায়, “কোনও গ্রাহক মিটারে ভুল হয়েছে বলে চ্যালেঞ্জ করলে আমাদের কাছে থাকা মিটার-রিডিংয়ের ছবি দেখানোর সুযোগ থাকছে।’’ পুরো পদ্ধতিটাই অনেক আঁটোসাঁটো বলেও মনে করেন তিনি।

বর্ধমানের গ্রাহক রথীন সেন থেকে কালনার সঞ্চয় কিস্কুরা বলেন, “আগে মিটার না-দেখেই বিল করে দেওয়ার প্রবণতা ছিল। অ্যান্ড্রয়েড যুগে সেটা আর করতে পারবেন না মিটার-রিডাররা। তাঁদের নেওয়া ছবি আমাদের কাছেও থাকছে। স্পট বিলে তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখছি। আমাদের সুবিধাই হয়েছে।” বণ্টন সংস্থার আঞ্চলিক অধিকর্তা মানিক পাল জানান, সংস্থা ও গ্রাহক— দু’পক্ষের সুবিধের কথা ভেবেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এতে সংস্থার লোকসানের বহর কমবে বলেও তাঁর আশা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Spot Billing Burdwan Electric Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE